আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ফলে এক আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১৭ ডলারে। তবে এর বিপরীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে দুর্বল হয়েছে মার্কিন ডলার। মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি, ফেডারেল ব্যাংকের প্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈরি সম্পর্ক এবং ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকিকে এর অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশেষ করে এ সপ্তাহান্তে ইসরাইলের বিমানবন্দরে হুতিদের আক্রমণ এবং গাজায় ব্যাপক স্থল আক্রমণ এ অঞ্চলে আবারও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্য সামরিক পদক্ষেপ বিবেচনা করা হতে পারে। আজ ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের হার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আসবে। তবে কিছুদিন আগে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের (ফেড) চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে আবারও অপছন্দ প্রকাশ করায় স্বর্ণের মূল্যে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাওয়েলকে ‘কঠোর’ বলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্যদের পাওয়েলকে স্বর্ণের মূল্যের হার কমানোর জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে শিকাগো মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ ফেডওয়াচ টুল বলেছে, ৭ মে স্বর্ণের হার কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাইওয়ান ডলার ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের অর্থনীতিতে শুল্কের প্রভাব এড়াতে নিজেদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে দেশটি। স্বর্ণের খনির মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে ফিনান্সিয়াল রিভিউ জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সুটর গোল্ড ফিল্ডস বাজার স্থিতিশীল করতে তাদের নতুন প্রস্তাব দেয়ার পর গোল্ড রোড রিসোর্সেস ৩.৭ বিলিয়ন ডলারে কিনতে সম্মত হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এমন যৌথ উদ্যোগ অংশীদার ও জনসাধারণের মধ্যে বিবাদের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিএমই ফেডওয়াচ টুল দেখিয়েছে, মে মাসের সভায় ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৫.২ শতাংশ এবং জুনের সভায় সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৪৬.৬ শতাংশ। বিশ্লেষণে জানা যায়, গত সোমবার স্বর্ণের দাম বেশি দৌড়াচ্ছে কিন্তু দিনের শুরুতে ডলার নিচে নেমে গেছে।