ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লোহাগাড়ায় আম ও লিচুর ফলন কম

লোহাগাড়ায় আম ও লিচুর ফলন কম

চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমতল ও বনভূমিতে প্রায় ১৫০ হেক্টর জায়গায় আম চাষ এবং ১৬ হেক্টর জায়গায় লিচু চাষ হয়েছে। তবে, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম হওয়ার আশঙ্কায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাগান মালিকেরা। টিলা ও বনভূমিবেষ্টিত চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকা। এলাকার মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে জনবসতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তৎসংলগ্ন রয়েছে গভীর ঝোঁপঝাড়বেষ্টিত মন্ডুলার চর নামক বনাঞ্চল। টিলা ও বনভূমিতে রয়েছে ফলদ ও বনজ বৃক্ষের বাগান। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফারাঙ্গা এলাকার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৯৬ সালে মন্ডুলার চরের নিজ দখলীয় বনভূমির প্রায় ১০ একর আয়তনবিশিষ্ট জায়গা সংষ্কার করে আম ও লিচু বাগান গড়ে তুলেন। শুরুতেই তিনি উন্নত জাতের আম্রপালি, মল্লিকা, রূপালী, ফজলী ও হিমসাগর প্রভৃতি জাতের প্রায় ৭ শতাধিক আম চারা এবং দেশীয় জাতের প্রায় ৩ শতাধিক লিচু চারা রোপণ করেছিলেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার বাগান সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বনভূমি সংষ্কার করে আম ও লিচু বাগান করা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল ব্যাপার। এতে লাভবান হওয়ার বিষয়টি ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল এবং পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরুত্বও অপরিসীম। সঠিক পরিচর্যা, সময়মতো পানি সেচ ব্যবস্থা, কীটনাশক প্রয়োগ ও স্প্রে করার মাধ্যমে বাগানের আমণ্ডলিচুর চারা পরিচর্যা করতে হয়। বাগান সৃষ্টি করার পর থেকে এ পর্যন্ত গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণসহ অন্যান্য পরিচর্যা বাবদ তার বহু টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে, ফলন হওয়ার পরও তিনি এ যাবৎ কোন বছরে আম ও লিচু বিক্রি করে তেমন লাভবান হননি। সেচ ব্যবস্থা সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য তাকে গভীর নলকূপ বসাতে হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত ব্যয়বহুল স্প্রে করাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এছাড়া রয়েছে পরিচর্যাকারী শ্রমিকদের পারিশ্রমিক। সবকিছু মিলে লাভের চেয়ে ব্যয়ের ভাগ বেশি হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত