মাটি খেকোদের করাল গ্রাসে পটিয়ার পাহাড় ও কৃষি জমির সর্বনাশ ঘটেছে। মাটি খেকোরা পাহাড়ি এলাকার টিলা পাহাড়সহ উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের সর্বত্রই ফসলি জমির টপসয়েল কেটে জমির উর্বরতা নষ্ট ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এ মাটি দিয়ে ইটভাটায় ইট তৈরি, পুকুর ভরাট ও বিভিন্ন স্থাপনার কাজ করছে। মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও থানার দালাল চক্র জড়িত রয়েছে। পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে মাটি নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কৃষি জমির টপসয়েল ও পাহাড় কাটায় অবৈধ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে দালাল চক্র। প্রতিদিন প্রায় ৫০টি ডাম্পার ট্রাক বিভিন্ন পয়েন্টে মাটি পরিবহন করে থাকে। প্রতি ৬ দিনে প্রায় ৩ শতাধিক ট্রাক চলে। গত ৭ মাস ধরে প্রতিরাতে স্কেভেটরের মাধ্যমে মাটি কেটে ডাম্পার ট্রাক দিয়ে লুট করে নেওয়া হচ্ছে মাটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হাইদগাঁও সাতগাউছিয়া মাজারের পশ্চিম পাশে, গুচ্ছগ্রামের মা ফাতেমার মাজারের পাশে, হাইদগাঁও আকবর শাহ্ মাজারের পেছনে হাজীপাড়া, কেলিশহর খিল্লাপাড়া, মাঝিরপাড়া, কেলিশহর মডেল টাউনের পাশে, রতনপুর, মৈতলা, মৌলভীবাজার, ধলঘাট ক্যাম্প আজাদ ক্লাবের পাশে, পাঁচুরিয়া, বড়লিয়া, ছনহরা মঠপাড়া, খরনা ফকির পাড়া, কাঞ্চননগর, কচুয়াই চা বাগানসহ অন্তত অর্ধশতাধিক পয়েন্টে গত ৭-৮ মাস ধরে মাটি কাটার উৎসব চলে আসছে। অনেকের অভিযোগ প্রতি রাতে এসব পয়েন্টে চলে অন্তত শতাধিক গাড়ি যার হিসেব অনুযায়ী প্রতি রাতেই ৩-৪ লাখ ও প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার মাটির অবৈধ রমরমা বাণিজ্য চলছে। এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান বলেন, আমি এবং এসল্যিান্ড দুইজন, আমরা যতটুকু পেরেছি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
