ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

এ বছর প্রথমবার ১৩০০ কোটি টাকার লেনদেন

এ বছর প্রথমবার ১৩০০ কোটি টাকার লেনদেন

দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রায় প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের গতি।

২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন ধারাবাহিকভাবে বেড়ে আবার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি বছরে এই প্রথম ১৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।

সেইসঙ্গে গত বছরের ১১ আগস্টের পর সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে। লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি বাজারটিতে মূল্যসূচকও বেড়েছে। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বাজারটিতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ধীরে ধীরে অনিশ্চয়তা কেটে যাচ্ছে, যে কারণে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ও লেনদেনের গতি বাড়ছে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজারের সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত। দিন যত যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাচ্ছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ এখন বিশ্বাস করছেন নির্বাচন হবেই। তারা আরও বলছেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হচ্ছেন। দীর্ঘ মন্দার কারণে বাজারে এখন অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম তলানিতে। যে কারণে বড় বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। এতে বাজারে লেনদেনের গতিও বাড়ছে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক দল সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিলে শেয়ারবাজার আরও গতি পাবে বলে আশা করা যায়। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে বিক্রির চাপ বাড়ালে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমে আসে। তবে বাজারে ক্রেতা ভালো থাকায় বাড়ে লেনদেনের গতি। বিশেষ করে ভালো কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলো দাম বাড়ার প্রবণতা ধরে রাখে। ফলে সার্বিকভাবে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত