ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আল্লাহর প্রিয় বান্দা যারা

আবরার নাঈম
আল্লাহর প্রিয় বান্দা যারা

একজন মোমিনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় জিনিস।’ (সুরা তওবা : ৭২)।

দুনিয়া ও আখেরাতে প্রাপ্ত নেয়ামতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি ও বড় নেয়ামত হলো- আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর মোমিনগণ পরকালে জান্নাত কামনা করবে এজন্য যে, তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জায়গা। আর আল্লাহর প্রিয় হওয়া ছাড়া তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়। এখানে আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কয়েকটি আমল তুলে ধরা হলো-

নম্রভাবে চলা ও মূর্খদের এড়িয়ে যাওয়া : নম্রভাবে চলাফেলা করা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। এতে আল্লাহ খুশি হন। মূর্খদের এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কজা ও বিচক্ষণতার লক্ষণ। মূর্খরা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। জীবনকে যন্ত্রণায় ফেলে। আল্লাহ বলেন, ‘রহমানের বান্দা তারা, যারা জমিনের বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং নির্বোধ লোকেরা তাদের সম্বোধন করে কোনো কথা বললে, তারা বলে সালাম।’ (সুরা ফুরকান : ৬৩)।

রাত জেগে ইবাদত করা : রাজ জেগে ইবাদতকারী সহজে আল্লাহর কাছে পৌঁছতে পারে। আল্লাহর প্রিয় হতে পারে। রাত জেগে ইবাদতের বড় আমল হলো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদ নামাজ হলো আল্লাহ ও তাঁর বান্দার একান্ত কথোপকথন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে তাহাজ্জুদ নামাজের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়ুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ৭৯)। একাধিক হাদিস দ্বারা তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। আর রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা (আশুরার রোজা)।’ (নাসায়ি : ১৬১৪)।

রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। এ প্রসঙ্গে এরশাদ হয়েছে, ‘এবং যারা রাত যাপন করে আপন রবের সামনে সেজদাবনত ও দণ্ডায়মান অবস্থায়।’ (সুরা ফুরকান : ৬৪)।

জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রর্থনা : জাহান্নামের আজাব অতি ভয়াবহ ও অসহনীয়। পরকালে পাপিষ্ঠ লোকদের জন্য নির্ধারিত থাকবে এ আজাব। তাই মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ সবসময় তা থেকে আশ্রয় চান। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা বলে, হে আমাদের রব, আমাদের থেকে জাহান্নামের আজাব দূর করে দিন, নিশ্চয়ই তার আজাব স্থায়ী।’ (সুরা ফুরকান : ৬৫)।

মিতব্যয়ী হওয়া : পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এবং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অপব্যয় করে না এবং কৃপণতাও করে। বরং এ দুয়ের মাঝামাঝি, ভারসাম্যপূর্ণ।’ (সুরা ফুরকান : ৬৭)। সর্বক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়া সুখময় জীবনের অন্যতম সুপান। অন্যথায় লাখ টাকা উপার্জন করেও সুখী হওয়া সম্ভব নয়। বিপরীতে ভুগতে হবে মানসিক অস্থিরতা ও অতৃপ্তিতে।

আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক না করা, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা না করা, ব্যভিচারে লিপ্ত না হওয়া আল্লাহর প্রিয় হওয়ার মাধ্যম। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকে না এবং আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন যথাযথ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং তারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় না।’ (সুরা ফুরকান : ৬৮)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত