২০২০ সালে দেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। প্রায় পাঁচ বছর পর সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে চাই-আগের দিনই হুংকার দিয়েছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার মাঠে নেমে তারই ঝলক দেখাল বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে লাল সবুজ দল। সুমাইয়া আক্তারের দল ৪০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে।
টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের কাপ্তান সুমাইয়া। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে নেপালকে ১৮.২ ওভারে মাত্র ৫২ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। জান্নাতুল মাওয়া নেন দুই উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরুর দিকে বপদে পড়লেও সাদিয়া ইসলাম ও সুমাইয়ার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১৩.২ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল।
বাংলাদেশের বোলাররা জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। জুনিয়র বাঘিনীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০ রান জড়ো করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে নেপালের মেয়েরা। তাদের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার আরেকটি কারণ ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে’ দুর্বলতা। তদের ৫ ব্যাটার রান-আউটের শিকার হয়েছেন, যার মাঝে আছেন দলটির অধিনায়ক পূজা মাহোতাও। এই বিধ্বংসী ব্যাটারের কল্যাণেই বাছাইপর্ব উতরে মূল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলেছে নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ নারীদের। নেপালের বাকি ৫ উইকেট ভাগাগাগি করে নিয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া(২টি) এবং নিশিতা আক্তার, ফাহমিদা ছোঁয়া, আনিসা আক্তার শোভা ১টি করে। নেপালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সানা পারভিনকে (৩২ বলে ১৯ রান) ফেরান মাওয়া।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে শেষ পর্যন্ত পচা শামুকে পা কাটেনি সাদিয়ার ১৬ রান এবং অধিনায়ক সুমাইয়ার ১২ রানের কল্যাণে। তবে তারা দুজনও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আফিয়া ইরা (৯ রান) মাওয়া (৫ রান) দলকে জিতিয়ে ফেরেন। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন মাওয়া। আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশের পরের লড়াই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে।