বারবাডোজ টেস্টে কিছু ভুল আম্পায়ারারা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি করলেন ড্যারেন সামি। ভুলের কড়া সমালোচনা করে শাস্তি পেলেও কোনো ক্ষোভ পুষে রাখেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ। বরং ওই আম্পায়ারকে শুভ কামনা জানালেন তিনি পরের টেস্টের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে টিভি আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টককে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয় সামিকে। তার নামের পাশে যোগ করা হয় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। কোচ হিসেবে প্রথমবার এমন ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন ক্যারিবিয়ানদের সাবেক এই অধিনায়ক। দুই দল এখন আছে গ্রেনাডায়। আজ এখানেই শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গত মঙ্গলবার সামি বললেন, ঘটনার পরে আম্পায়ারদের সঙ্গে তার আরও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘সেদিন আমি বলেছিলাম, সংবাদ সম্মেলনে যে ধরনের প্রশ্ন ছুটে যাবে, আমার কোনো ক্রিকেটারকে সেখানে পাঠাতে চাই না আমি। এরপর আমাদের আরও আলোচনা হয়েছে (ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে)। কিছু ব্যাপার তারা ব্যাখ্যা করেছেন। ভুল মেনে নেওয়ার কিছু ব্যাপারও ছিল। সেটা ছিল বারবাডোজ, এখন আমরা আছি গ্রেনাডায়।
আমরা তাই সেসব পেছনে ফেলে এসেছি।’ সামি তার মন্তব্যে এমন অভিযোগ করেছিলেন যে, ইংল্যান্ড সফরে থেকে ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ থেকে তাদের পেছনে লেগে আছেন আম্পায়ার হোল্ডস্টক। তার শাস্তির পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ওই মন্তব্যে। সেই হোল্ডস্টক সিরিজের পরের দুই টেস্টে থাকছেন মাঠের আম্পায়ার হিসেবে। অতীত ভুলে এখন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামনে তাকাচ্ছেন সামি। ‘ক্ষোভ পুষে রাখি না আমি। তখন যা দেখছিলাম, সেটির ভিত্তিতেই মন্তব্য করেছিলাম। সেজন্য শাস্তি পেতে হয়েছে আমাকে। সত্যি বলতে, অ্যাড্রিয়ানকে সবটুকু শুভ কামনা জানাই। আমরা সবাই মানুষ। আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কিছু নেই। আমি সত্যি চাই, তিনি খুব ভালো একটি ম্যাচ যেন কাটাতে পারেন।’
বারবাডোজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুটি সংশয়পূর্ণ আউট নিয়ে মূলত সমালোচনা করেছিলেন সামি। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টককে। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি আসলে প্রক্রিয়াটা কী।
আমরা কেবল ধারাবাহিকতা আশা করতে পারি। স্রেফ এটাই আমরা চেয়েছি। যখন কোনো কিছু নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকে, সব বোর্ডের ক্ষেত্রেই যেন একই ধারাবাহিকতা থাকে। এমন কোনো অবস্থায় কেউই পড়তে চায় না, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো আম্পায়ার নিয়ে ধন্দে পড়ে যেতে হয় যে, ‘সে কি এই দলের বিপক্ষে?’ এরকম যখন একটির পর একটি সিদ্ধান্ত দেখা যায়, তখন এই প্রশ্নই উঠে যায়।’
আমি খেয়াল করেছি, বিশেষ করে এই আম্পায়ার আমার সঙ্গে তার কিছু একটা শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড থেকেই। ব্যাপারটি খুবই হতাশাজনক। আমি স্রেফ চাই, সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেন ধারাবাহিকতা থাকে।’ ওই মন্তব্যের জন্য পরে টেস্ট শেষে ক্যারিবিয়ান কোচকে শাস্তি দেওয়ার কথা জানায় আইসিসি।