উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে ৭ গোল করার নজির এতদিন ছিল না কোনো ক্লাবের। সেই ‘শূন্যতা’ দূর করে রেকর্ডের চূড়ায় আরোহণ করল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনাল। এমন একটি দলের বিপক্ষে নতুন কীর্তি গড়ল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা, যারা ইতালিয়ান পরাশক্তি জুভেন্তাসকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে প্রথম লেগের ম্যাচে ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দহোফেনকে তাদের মাঠেই ৭-১ গোলে স্রেফ গুঁড়িয়ে দিয়েছে গানাররা।
এই বিশাল জ্বয়ে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা একরকম নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। প্রথমার্ধে তিনবার স্বাগতিকদের জালে বল পাঠায় আর্সেনাল। ১৮তম মিনিটে জুরিয়েন টিম্বারের লক্ষ্যভেদের তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইথান নোয়ানেরি। ৩১তম মিনিটে মিকেল মেরিনো জাল খুঁজে নিলে চালকের আসনে বসে পড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০০৫-০৬ মৌসুমের রানার্সআপরা।
বিরতির আগে ৪৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান নোয়া ল্যাং। তবে পিএসভির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা টেকেনি বেশিক্ষণ। বিরতির পর আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে তারা আদায় করে নেয় দুটি গোল। ৪৭তম মিনিটে মার্টিন ওডেগার্ড ও পরের মিনিটে লেয়ান্দ্রো ত্রোসা নিশানা ভেদ করেন।
৭৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান অধিনায়ক ওডেগার্ড। আর ৮৫তম মিনিটে আর্সেনালের রেকর্ডগড়া জ্বয় নিশ্চিত করেন রিকার্দো কালাফিওরি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ হবে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যকার লড়াইয়ের জ্বয়ী দল। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়া ম্যাচে রিয়াল প্রথম লেগে জিতেছে ২-১ গোলে।
প্রথমার্ধের শুরুতে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগোর লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। বিরতির আগে অ্যাতলেতিকো সমতায় ফেরে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজের নৈপুণ্যে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে মরোক্কান উইঙ্গার ব্রাহিম দিয়াজ্ব ফের লিড পাইয়ে দেন স্বাগতিকদের। সেটাই শেষমেশ যথেষ্ট হয় তাদের স্বস্তির জ্বয়ের জ্বন্য।