রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে শুরু হয়েছে একেবারে ভিন্নধরনের অনুশীলন পদ্ধতি। মাঠের উপর দিয়ে উড়ছে ড্রোন যার মাধ্যমে প্লেয়ারদের মুভমেন্ট, পজিশনিং আর ট্যাকটিক্স পর্যবেক্ষণ করছেন কোচ নিজে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র বরাতে জানা গেছে, কোচ হিসেবে আলোনসোর জন্য এটিই প্রথমবার ড্রোন ব্যবহার। মূল লক্ষ্য অনুশীলনের সময় আরও বিস্তারিত ডেটা সংগ্রহ করা এবং দলগত কৌশলের গভীরে ঢোকা। রিয়ালের আগের কোচ কার্লো আনচেলত্তির সময় রিয়ালের অনুশীলনে এমন প্রযুক্তির দেখা মেলেনি। বরং প্রচলিত পদ্ধতিতেই নির্ভর করতেন অভিজ্ঞ এই কোচ। যদিও বায়ার লেভারকুজেনে থাকাকালীন কিছুটা ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন আলোনসো, তবে আকাশপথ থেকে খেলা বিশ্লেষণের উদ্যোগ এবারই প্রথম। এই ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে আলোনসো পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছেন- প্রযুক্তির প্রতি তার মনোভাব ইতিবাচক, যদি তা দলের পারফরম্যান্সে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হলেও ভবিষ্যতে এটি রিয়ালের রোজকার অনুশীলনের স্থায়ী অংশ হয়ে উঠতে পারে। তবে শুধু ড্রোন নয়, জাবি আলোনসোর অধীনে অনুশীলনের কৌশলগত পরিকল্পনায়ও এসেছে পরিবর্তন। ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের শুরুর একাদশ বিশ্রামে ছিলেন। তারা ঘরের ভিতরেই রিকভারি সেশন করেন। বাকি খেলোয়াড় এবং যুব দলের কয়েকজন খেলোয়াড় মাঠে নামেন। অনুশীলন শুরু হয় বল নিয়ে এবং বল ছাড়াই ওয়ার্মআপ দিয়ে। এরপর ছিল ফিজিক্যাল ড্রিল, বল দখলের অনুশীলন এবং গোল করার অনুশীলন। শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা ৬ জনের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মিনিম্যাচ খেলেন, যাতে গতি ও ম্যাচ সেন্স বজায় থাকে। রিয়াল মাদ্রিদে জাবি আলোনসোর যাত্রা শুরু হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি এবং নতুন কৌশলের সমন্বয়ে। এই ড্রোন হয়তো আরও বড় একটা পরিবর্তনের শুরু- যেটা শুধু মাঠে নয়, অনুশীলনেও রিয়ালকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।