দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। কিন্তু এই ডিসিপ্লিনটি যেন হারিয়েছে নিজস্ব সত্তা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মতো ঘরোয়া আসরেও শৃঙ্খলহীন। তিন বছর ধরে নেই প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগ। দুই বছর হতে চললো সবশেষ ম্যাটে গড়িয়েছে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ। কিছু কাবাডি টেস্ট সিরিজ আর নেপাল কাবাডি লিগে খেলেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে শুরু করেছে বর্তমান অ্যাডহক কমিটি। ফলে লিগ নিয়মিত না হওয়ায় ধুকছে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগের ক্লাবগুলো।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগ। পরের বছর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিভাগ। সেখানে আনসার চ্যাম্পিয়ন ও বিকেএসপি রানার্সআপ হয়েছিল। গত বছর ১৪ নভেম্বর কাবাডিতে নতুন কমিটি এলেও লিগের কোনো সুখবর দিতে পারেনি। তারা ব্যস্ত ছিল কাবাডি টেস্ট সিরিজ ও নেপাল কাবাডি লিগে খেলায়। গত দুই থেকে তিন বছর লিগের খেলা না থাকায় সংকটে পড়েছে ক্লাবগুলো। প্রিমিয়ারে আটটি এবং প্রথম বিভাগে ১০টি ক্লাব ও তাদের খেলোয়াড়রা পড়েছেন গভীর শংকায়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘আমরা প্রথম অর্ধবর্ষ পঞ্জিকা দিয়েছিল।
নতুন অর্ধবার্ষিকী পঞ্জিকাতে দ্বিতীয় বিভাগ কাবাডি দিয়েই শুরু করতে চাই।’ তবে এতে দ্বিমত পোষণ করছেন অন্যরা। প্রিমিয়ার কাবাডি লিগে ক্লাব আজাদ স্পোর্টিংয়ের সদস্য সচিব এসএমএ মান্নানের মতে, ‘এটা কোন ভাবেই হতে পারে না। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম বিভাগ লিগ হওয়ার কথা এখন। নইলে লিগ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে।
কারন দীর্ঘদিন খেলতে না পেরে খেলোয়াড় ও ক্লাবগুলো আশাহত হয়ে পড়েছে।’
প্রথম বিভাগের ক্লাব আইডিয়াল ক্রীড়া চক্রের কর্ণধার মেহেদী হাসান সুমনের কথা, ‘প্রথম বিভাগ এবং প্রিমিয়ার বিভাগের পরেই ফের দ্বিতীয় বিভাগ হওয়া উচিত। এটাই নিয়ম। নইলে সংকটে পড়তে হবে আমাদেরকে।’
এদিকে ঈদুল আজহায় রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত কাবাডি উৎসবে রেফারি আবু আউয়াল সিদ্দিকী ও জুবায়ের জুম্মন হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু আউয়ালের কথা, ‘আমরা যাতে ঈদ উৎসবে রেফারিং করতে না পারি, সেই জন্য ফেডারেশনের রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল হক হুমকি দিয়েছেন। যা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি।’