ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মাদ্রিদ ডার্বি জিতে এগিয়ে গেল রিয়াল

মাদ্রিদ ডার্বি জিতে এগিয়ে গেল রিয়াল

নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে জিতে একটু এগিয়েই আছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সুযোগ হাতছাড়া না করলে ব?্যবধান আরও বড় হতেই পারত। তবে মৌসুমে প্রথমবারের মতো আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারানোর উচ্ছ্বাসের মাঝে হারানো সুযোগগুলো নিয়ে ভাবতে চান না রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। গতকাল বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেতিকোর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল।

গত রাতে ফ্রেদরিক ভালভারদের পাস থেকে রিয়ালকে ম্যাচের ৪ মিনিটেই এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো। অন্যদিকে ম্যাচের ৩২ মিনিটে অ্যাটলেতিকোকে সমতায় ফেরানো আলভারেজ্ব হচ্ছেন আর্জেন্টাইন। দুজ্বনে যে দুটো গোল করলেন, তা এক কথায় নান্দনিক ও চোখের শান্তি। তবে দুজ্বনই ক্লাব পর্যায়ে এবং জাতীয় দলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। রদ্রিগো ও আলভচারেজ্বও একই নগরে থেকেও দুই রং ধারণ করেন, সাদা ও লাল। এখানেই শেষ না। আলভারেজের ক্যারিয়ারটা রিয়ালেই হওয়ার কথা ছিল। তবে মাদ্রিদের সাদাদের নিয়ম অনুসারে আলভারেজের রেজিস্ট্রেশনটা হয়নি। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইরাইকারের বয়স সেই সময় ১৩’র কম হওয়াতে তিনি নাম লেখাতে পারেননি লস ব্ল্যাঙ্কসদের হয়ে। পরে আলভারেজের রিভার প্ল্যাট ঘুরে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জ্বয়ের গল্প সবারই জানা। খুব সূক্ষভাবে দেখলে স্পষ্ট হবে যে রিয়ালের সেই প্রত্যাখান মেনে নিতে পারেননি আলভারেজ্ব। যখনই রিয়ালকে পেয়েছেন সামনে কিছু একটা প্রমাণের জ্বন্য জ্বলে উঠেছেন। সিটির জার্সিতে ২০২৩ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে গোল পেয়েছিলেন। লস ব্ল্যাঙ্কসদের বিপক্ষে ৭ দেখায় ৩ গোল করেছেন। আলভারেজ্ব গত রাতের গোলটি করে ৬৬ বছরের এক বিশাল গোল খরা কাটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৯৫৯ সালে (তখন ভিন্ন নাম ছিল) অ্যাটলেতিকোর হয়ে সবশেষ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গোল করেছিলেন চুজোর। তাছাড়া লেওনেল মেসির পর দ্বিতীয় আর্জেন্টাইন হিসেবে রিয়ালের ঘরের মাঠে গোল করলেন আলভারেজ্ব।

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ফের রিয়াল এগিয়ে যায়। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ফারলেন্দ মন্দির পাস নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাহিম ডিয়াজ্ব। পায়ের কারুকাজে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে জায়গা বানিয়ে নেনে। তারপর অ্যাটলেতিকোর বিখ্যাত ডিফেন্সের ফাঁক গলে কয়েকজ্বনের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জ্বড়িয়ে দেন। রিয়াল এই ম্যাচে জ্বয় না পেলে, পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয় লেগে নামতে হতো। কারণ অ্যাটলেতিকোর মাঠ মেত্রোপলিতানোয় নক আউট ম্যাচ মানেই স্বাগতিকরা এগিয়ে থাকা। তবে ১ গোলের সুবিধা নিয়ে আগামী ১২ মার্চ দিবাগত রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে অ্যাটলেতিকোর মুখোমুখি হবে রিয়াল।

ইউরোপের সেরা দলগুলোর একটি আতলেতিকোর বিপক্ষে জ্বয়ে খুশি কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তবে এতে ভেসে না গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরের ধাপে যেতে হলে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয়, নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে তাদের। ‘এগুলো সম শক্তির দলের লড়াই। চ?্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা শেষ ষোলোর লড়াই, তবে অনায়াসেই এটা ফাইনাল কিংবা সেমি-ফাইনাল হতে পারত। আতলেতিকো ইউরোপের সেরা দলের একটি। আর এই লড়াইয়ের প্রথম লেগেই নিষ্পত্তির কথা আপনি ভাবতে পারবেন না। আমরা স্বল্প ব?্যবধানে এগিয়ে আছি যা ফিরতি লেগে আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এটা কঠিন একটি ম?্যাচ ছিল বরাবরের মতোই। আতলেতিকোর বিপক্ষে যা সবসময়ই হয়।’

চলতি মৌসুমে আতলেতিকোর বিপক্ষে আগের দুই ম?্যাচে ১-১ ড্র করেছিল রেয়াল। এবার জিততে পারাকে বড় করে দেখছেন আনচেলত্তি। ‘প্রথমার্ধে আমরা অনেক বল হারিয়েছি, আমরা অনেক অপ্রয়োজ্বনীয় ভুল করেছি, যার মাশুল প্রায় দিতেই হচ্ছিল আমাদের। হুলিয়ান আলভারেসের গোলে ওরা সমতা ফিরিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো ছিলাম। আমরা তখন সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত