দল জিতেছিল ঠিকই, তবে সেঞ্চুরির নিকটে গিয়ে ফিরেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। আগের রাউন্ডের সেই অপ্রাপ্তির আক্ষেপ পরের ম্যাচেই মিটিয়ে নিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। অপ্রতিরোধ্য পথচলায় শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির আরও একটি জয়ের দেখা পেল অধিনায়কের দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরিতে। গতকাল শুক্রবার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন উইমেনস ক্রিকেট লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ১২৬ রানে হারায় শেলটেক। ২৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান। ছয় ম্যাচে শেলটেকের এটি ষষ্ঠ জয়। পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে টেবিলের শীর্ষে নিগারের দল। ছয় ম্যাচ পরও কলাবাগানের জয়ের খাতা শূন্য। শেলটেকের টপ-অর্ডারের পারফরম্যান্স এতটাই দ্যুতিময় ছিল যে, শুরুর কয়েক ম্যাচে তেমন ব্যাটিংয়েরই সুযোগ পাননি নিগার। পঞ্চম রাউন্ডে দায়িত্ব পেয়ে ৮০ রান করেন তিনি। এবার পঞ্চাশ ছুঁয়ে সেটিকে তিনি টেনে নিলেন তিন অঙ্কে। চার নম্বরে নেমে নিগার খেলেন ১০২ রানের ইনিংস। ১১৫ বলে ১১টি চার মারেন তিনি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারের মধ্যে অচেনা জান্নাত ও হালিমাতুল সাদিয়ার উইকেট হারায় শেলটেক। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেধে চাপ সামাল দেন শারমিন সুলতানা ও নিগার। দুজন মিলে ১৩৭ বলে যোগ করেন ১২৭ রান। শারমিন ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হন। ৫৪ বলে পঞ্চাশ করে আরও এগিয়ে যান নিগার। ইনিংসের ১০ ওভারের বেশি বাকি থাকতে আউট হন তিনি। শেষ দিকে ফাহিমা খাতুনের ৩৭ বলে ৪০ রানের ইনিংসে আড়াইশ পেরোয় শেলটেক। কলাবাগানের পক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সুবর্ণা কর্মকার।
রান তাড়ায় একদমই লড়াই করতে পারেনি কলাবাগান। ত্রয়োদশ ওভারে ৩৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে ৫২ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। সাত নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস। শেলটেকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা ও হালিমাতুল সাদিয়া। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকার শীর্ষে সুমনা।