বিশ্ব ফুটবলে একমাত্র দল ব্রাজিল, যারা সর্বোচ্চ পাঁচবার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি ছুঁয়ে দেখেছে। ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং সবশেষ ২০০২ সালে শিরোপা উঁচিয়ে ছিল সেলেসাওরা। এর কেটে গেছে দুই যুগ, আর শিরোপার মুখ দেখেনি নেইমাররা। বিশ্বকাপের পর কোপা আমেরিকার ব্যর্থতা, ব্যর্থতা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও। দিশাহারা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন তীব্র তাগিদ ছিল কার্লো আনচেলত্তিকে পাওয়ার। ব্রাজিলিয়ের ইতিহাসে প্রথম কোন বিদেশিকে তারা দায়িত্ব দিয়েছে উপায়হীন হয়ে, কোণঠাঁসা জাতীয় দলকে জাগিয়ে তুলতে। ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলাররা এই নিয়োগে আশাবাদের কথাই শুনিয়েছেন। তাদের মতে হয়তো আনচেলত্তির হাত ধরেই ফিরবে পাঁচবারের বিশ্বসেরাদের সোনালি দিন।
ক্লাব ফুটবলে ইতিহাস আনচেলত্তি সফলতম কোচ।
বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জেতেছেন সম্ভাব্য প্রায় সব ট্রফি। চলতি মাসে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে যাওয়া এই কোচ ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স-ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের প্রতিটিতে শিরোপা জেতা প্রথম কোচ। গত তিন মৌসুমে রিয়ালকে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লা লিগা ডাবল জিতিয়েছেন। ব্রাজিলের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা ফেলিপে মেলো এই নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি খুব খুশি, এবং আমি বিশ্বাস করি না এমন কেউ আছেন যিনি বিশ্বের সেরা কোচের আগমন ঘোষণায় খুশি নন।’
২০২২ বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় তিতে চাকরি ছাড়ার পর থেকে রামোন মেনেজেস, ফার্নান্দো দিনিজ এবং দরিভাল জুনিয়র দলের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের কেউই ব্রাজিলকে চাঙ্গা করতে পারেননি। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী এবং জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ কার্লোস দুঙ্গা বলেছেন সবার উচিত আনচেলত্তিকে সাহায্য করা, ‘যদি আমরা তিন বছরেরও কম সময়ে চারজন কোচ পরিবর্তন করি, তবে কিছু একটা ঠিকঠাক চলছে না (...) আমার মতে, আনচেলত্তিকে ফল পাওয়ার জন্য আনা হয়েছে, তাই আমাদের তাকে সাহায্য করতে হবে।’
২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টায় ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে ব্রাজিল চতুর্থ স্থানে রয়েছে, ১৪টি ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র ছয়টিতে জিতেছে।
আগামী বছরের বিশ্বকাপে এই অঞ্চল থেকে ছয়টি দল যোগ্যতা অর্জন করবে। বিশ্বকাপে নিশ্চিত করা নিয়ে হয়ত বড় শঙ্কা নেই। তবে ব্রাজিল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বিশ্বকাপে যাবে এটা মেনে নেওয়ার মতন না সমর্থকদের কাছে। আনচেলত্তির মাধ্যমে দাপট ফেরাতে চায় সেলেসাওরা।