
প্রয়াত মোনেম মুন্না, সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, সম্রাট হোসেন এমিলি ও ছাইদ হাছান কাননের মতো তারকা উঠে এসেছেন এই পাইওনিয়ার লিগের মাথ্যমে। অথচ গত চার বছর ধরে বন্ধ বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই লিগটি। এই সময়ে অনেকের বয়স বেড়ে গেছে। অনেকেরই তারকা হওয়ার স্বপ্ন অঙ্কুড়েই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কোনো হেলদোল নেই দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। তাই এবার পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ মাঠে গাড়নোর দাবিতে মাঠে নামলেন ক্ষুদে ফুটবলার ও সংগঠকরা। গতকাল বুধবার বাফুফের সামনেই দ্রুত পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ চালুর দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্মকর্তারা।
সর্বশেষ ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি এই লিগ। নতুন কমিটি এসেও মাঠে গড়াতে পারেননি লিগটি। চার বছরে লিগ না হওয়ায় প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন ক্লাবের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। প্রতিবাদ সমাবেশে গাজী সেলিম ফুটবল একাডেমির কর্ণধার গাজী সেলিম বলেন, ‘পাইওনিয়ার লিগ দ্রুত চালু করার জন্য আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। যদি তা না করা হয়, তাহলে আমরা বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো।’ তিনি যোগ করেন, ‘পাইওনিয়ার লিগের ৭০, ৮০টি দল রয়েছে। আমরা আগেও নিবন্ধন করেছি। এইমাসে কিংবা এই বছর খেলা হবে- এমন কথা বলতে বলতে আর আলোর মুখ দেখছে না। অথচ এই লিগ থেকেই উঠে এসেছেন, শেখ মো. আসলাম, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, সম্রাট হোসেন এমিলি, প্রয়াত মোনেম মুন্না ও ছাইদ হাছান কাননের মতো তারকা ফুটবলার। অথচ আজ এই লিগটি বন্ধ। যার ফলে খেলতে না পেরে ছেলেরা কিশোর গ্যাঙয়ে চলে যাচ্ছে, মাদকে আসক্ত হচ্ছে। গত চার বছরে প্রায় বিশ হাজার প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাইওনিয়ার ফুটবল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’ লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেনের কথা, ‘সুযোগ থাকলেও ছোট ছেলেরা বড় হয়ে যাচ্ছে ফুটবল না খেলেই। অনেক ক্ষুদে ফুটবলারের তারকা হওয়ার সুপ্ত বাসনা আর প্রস্ফুটিত হচ্ছে না। চার বছরে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন তারকা ফুটবলার হওয়া থেকে। আমাদের দাবি, এ বছরেই শুরু করা হোক পাইওনিয়ার লিগ।’ গত বছরের নভেম্বরে পাইওনিয়ার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে টিপু সুলতান মনোনীত হয়েছেন। আট মাস পেরিয়ে গেলেও সেই কমিটি পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল জুনের মাঝামাঝিতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সেই সম্মেলনে দ্রুত সময়ের মধ্যে কিছু কমিটি পূর্ণাঙ্গ ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কমিটি গঠনের অঙ্গীকার দিয়েছিলেন। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সভাপতি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। ১৯৮১ সাল থেকে বাফুফে পাইওনিয়ার লিগ শুরু করেছে। অনেক ক্লাবই রয়েছে এলাকার ও বন্ধু-বান্ধবের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এই পর্যায়ে দীর্ঘ দুই-তিন যুগ ধরে ক্লাব পরিচালনা করে আসছে। পাইওনিয়ার ক্লাবগুলোর বাফুফেতে কোনো ভোটাধিকার নেই। অথচ সালাউদ্দিনের গত কমিটি নামকাওয়াস্তের নারী লিগে শীর্ষ চার ক্লাবকে ভোটাধিকার দেয়, সেখানে পাইওনিয়ারের ওই অধিকার নেই। আজকের প্রতিবাদ সমাবেশে দ্রুত লিগ পরিচালনার পাশাাপশি পাইওনিয়ারে সেমিফাইনালিস্ট চার দলের ভোটাধিকারের দাবিও উঠেছে জোরেশোরে।