
দেশজুড়ে নতুন করে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যৌথভাবে আয়োজন করেছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই আসরে অংশ নিচ্ছে দেশের ৬৪টি জেলা। প্রাথমিক রাউন্ডে ৬৪ জেলা ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। প্রতিটি গ্রুপের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই শহিদদের নামানুসারে। গতকাল শনিবার মুন্সিগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেছেন, ‘তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করার একটি মূল লক্ষ্য হচ্ছে তরুণদের সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা এবং তাদের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করা। এমন একটা সুন্দর ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে তরুণরা মাদকসহ আরও অন্য ইভিল প্র্যাক্টিসগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারে। তারই একটি অংশ হিসেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর আয়োজন করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ক্রীড়াঙ্গণে বিকেন্দ্রীকরণে কাজ করছে। ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণে সারাদেশে পাঁচটি মিনি বিসিবি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ফুটবলের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বাফুফে কাজ করছে। আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা তাদের টিম গঠন করবে; ভালো ভালো খেলোয়াড়দের তারা খুঁজে নিয়ে আসবে এবং তারা জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ পাবে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্ভাবনাময়ী খেলোয়ারদের বাফুফে নির্বাচন করবে এবং সঠিক প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে তাদের জাতীয় দলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। এইভাবে একটি ফুটবলে ইকোসিস্টেম তৈরি হবে।’ উল্লেখ্য, প্রথম দুই ধাপ হচ্ছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। সেখান থেকে ৬৪ দল কমে হবে ৩২, এরপর ১৬। শেষ পর্যন্ত নকআউট পর্বে সেমিফাইনাল শেষে ফাইনাল হবে জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায়। ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা।