
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর হওয়ার কথা ছিল আগস্টের ৩ থেকে ১০ আগস্ট ভারতের হায়দরাবাদে। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন যেদিন দল ঘোষণা করেছিল ২৬ জুলাই, ওই দিনই বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার খবর আসে।
স্থগিত হওয়া নারী কাবাডি বিশ্বকাপ এখন বাংলাদেশে হতে পারে।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে। এ মাসে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাবাডি ফেডারেশন সরকারের কাছে আবেদন করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বকাপ আয়োজনের সরকারি অনুমতির জন্য কাবাডি ফেডারেশন আমাদের কাছে যে আবেদন করেছিল সেটা আমরা পাঠিয়েছিলাম যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সেই আবেদন পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ কাবাডি হবে কি না।’ ১৪টি দেশের অংশ নেওয়ার কথা ছিল এই বিশ্বকাপে। এর মধ্যে পাকিস্তান ছিল না। এখন ভেন্যু যদি বাংলাদেশে হয় তাহলে আন্তর্জাতিক কাাবডি ফেডারেশন দল পরিবর্তন করে পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এর আগে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের জন্য রুপালি সিনিয়রকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন জানায়, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বিস্তারিত সময়মতো জমা না দেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেতে সময় লেগেছে। এজন্য নারী কাবাডি বিশ্বকাপ স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের নতুন তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেছিলেন, ‘আমাদের নারী কাবাডি দলে অনেক খেলোয়াড় অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে। তেমনি একজন হচ্ছে সিনিয়র রুপালি। এ বিশ্বকাপের মাঝেই সে কাবাডিকে বিদায় জানাবে। অধিনায়ক করে আমরা তাকে সম্মানিত করতে চাই।’
রুপালি ছাড়াও বাংলাদেশ নারী কাবাডি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- শ্রাবনী মল্লিক, বৃষ্টি বিশ্বাস, মোছা. স্মৃতি আক্তার, রেখা আক্তারী, মেবি চাকমা, রুপালি আক্তার (জুনিয়র), দিশা মনি সরকার, সুচরিতা চাকমা, খাদিজা খাতুন, লোবা আক্তার, তাহরিম, মোছা. ইসরাত জাহান সাদিকা, আঞ্জুআরা রাত্রি, লাকি আক্তার।