ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্বাচন না করার কারণ জানালেন তামিম

কোয়াবের নতুন সভাপতি মিঠুন

কোয়াবের নতুন সভাপতি মিঠুন

ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। গতকাল বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদকে হারিয়ে সংগঠনের সর্বোচ্চ পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন মিঠুন। এদিন নির্বাচন ঘিরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের মিলনমেলাই বসেছিল। এসেছিলেন সাবেক-বর্তমান তারকারা। যদিও কোয়াবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে শুধু সভাপতি পদেই। সভাপতি হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ ও বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। বাকি ১০টি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আজকের নির্বাচনে শাহেদকে পেছনে ফেলে নতুন সভাপতি হয়েছেন মিঠুন।

মিঠুন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট আর শাহেদ ৩৪টি। বিপুল ভোটেই জিতেছেন মিঠুন। এবার স্বশরীরে তো বটেই, অনলাইনেও ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল। মোট ২১৫ ভোটের মাঝে ১৮৮ জন ভোট দিয়েছেন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাবেক সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল পদ ছেড়ে দেন। এরপর সেলিম শাহেদের অধীনে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের তত্ত্বাবধানেই হওয়া নির্বাচনে জয় পেলেন মিঠুন। তামিমের একটা সময় সভাপতি হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন না করা নিয়ে মিরপুরে গণমাধ্যমে জানালেন, ‘আপনারাও জানেন আমি কী কারণে (কোয়াব নির্বাচনে) আসিনি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন। কোয়াবে অনেক কিছু আছে যা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, এমন হতে পারত, অমন হতে পারত। আমাদের মূল ইচ্ছা ছিল নির্বাচনটা হয়ে যাক, কমিটি হয়ে যাক। তারপর তাদের হাতে ২ বছর সময় থাকবে। এরমধ্যে সব সিস্টেমেটিকভাবে করে ফেলতে হবে।’

কোয়াবে নারী ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে তামিম জানান, ‘কোয়াবের ৯৫ শতাংশ কাজ রানিং ক্রিকেটারদের নিয়ে। যদি পেমেন্টের ইস্যু হয়, ফ্যাসিলিটি ইস্যু হয়, এগুলো কিন্তু কারেন্ট ক্রিকেটারদের নিয়েই হবে। কারেন্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে যদি কেউ দাঁড়ায় সেটা সবচেয়ে ভালো। সুযোগ-সুবিধা, কষ্ট এগুলো ওদের চেয়ে ভালো কেউ বুঝতে পারবে না।’

সাবেকদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তামিম, ‘সাবেকরাও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যারা আগে ক্রিকেট খেলেছেন তাদের অবদানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ৯৫ শতাংশ কাজই বর্তমানদের নিয়ে। ওদের মাঝখান থেকেও যদি প্রেসিডেন্ট হয় বা কমিটি হয় আমি খুবই ভালোভাবে নিব।’

কোয়াবের কর্তাদের কোন অভিযোগই রাখতে চান না তামিম। এজন্য বিসিবির দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন তামিম, ‘আমার তো মনে হয় ওদের কোনো কাজই না থাকুক। যদি বোর্ড খেলোয়াড়দের দেখাশোনা করে, তাদের টাকাপয়সা সব দিক থেকে যদি দেখে রাখে, তাদের তো কাজ করা উচিৎ না।

কী নিয়ে অভিযোগ করবে? ওদের চেয়ে বোর্ডের বেশি দায়িত্ব, ওদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হোক। যেটা ওদের অধিকার, যেটা ওদের যোগ্য। ক্রিকেট বোর্ড সব ঠিকভাবে করলে তো কোয়াবের অভিযোগই করার থাকবে না। আমি আশা করব কোয়াবের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ থাকবে না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত