
কোনো নাটকীয় ঘটনার জন্ম না হলে আগামী ৯ অক্টোবর হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। যেখানে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এই দুজনের মধ্যে তামিম বিএনপির পক্ষ থেকে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগার লবি। এরপরই ক্রিকেট পাড়ায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল কি সরকারের প্রার্থী? সে প্রশ্নের উত্তত আসার আগেই এসেছে নতুন খবর। আর সে খবর হলো ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিয়ে। তাদের মধ্যে বৈঠকের খবর উত্তাপ ছড়ায় ক্রীড়াঙ্গনে। গতকাল সোমবার দুপুরে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্বয়ং জানিয়ে দিলেন, তিনি ফারুক আহমেদের সঙ্গে যেচে কথা বলেছেন। এদিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা সত্য, বিসিবি সভাপতি পদে ফারুক ভাইয়ের পারফরম্যান্স আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি বলে তার পরিবর্তে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। আমার সঙ্গে ফারুক ভাইয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্কটা ঠিক আগের মতোই। আমি ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের মাঝে কথা হয়েছে।’
ফারুক আহমেদের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছে? জানতে চাইলে এনএসসি চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে বসে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের রূপরেখা ও কাঠামো নিয়ে খোলামেলা আলাপ আলোচনা করেছি। ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সম্ভাব্য রূপরেখা কেমন হতে পারে, একজন সভাপতি ছাড়াও বোর্ডে আরও অনেক পদে হাইলি টেকনিক্যাল পার্সনদের থাকা জরুরি। সেই অনুভব ও উপলব্ধি থেকেই আমি ফারুক ভাইয়ের মতামত নিয়েছি। বোর্ডে কেমন টেকনিক্যাল পারসন দরকার। কোন পদে কেমন ধরনের লোক হলে ভালো হয়, ২৫ জনের বোর্ডে অন্তত কতজন টেকনিক্যালম্যান দরকার, সে সব নিয়ে ফারুক ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি। তার মতামত নিয়েছি।’ ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, বিসিবিতে যেখানে যে যোগ্য, তাকেই সেখানে দরকার। সেই যোগ্য ব্যক্তি যাতে যথাযত স্থানে বসতে পারেন, সে চেষ্টার কথাই জানান তিনি।
এদিকে সবার জানা তামিম ইকবাল ব্যক্তি জীবনে ফারুক আহমেদের পরম আত্মীয়। তাই বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বুলবুলকে বাদ দিয়ে তামিম ইকবালের পক্ষ নিতে পারেন ফারুক। সে কারণে ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বুলবুলের পক্ষ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। সেজন্যই ক্রীড়া উপদেষ্টা ফারক আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও গুঞ্জনের এ বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় সভায় কিছুই বলেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা।