
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। কিন্তু এবারের আসর ছাড়িয়ে গেছে আগের সব আসরকে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান হেরে মাঠ ছেড়েছিল, আর ভারতীয় ক্রিকেটাররা তখন হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরেছিলেন। এরপর পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। তবে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যেন থামছেই না। বিতর্কিত সেই ঘটনার জন্য এবার ভারতকে শূলে চড়ালেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলতে পারলে হাত মেলাতে সমস্যা কোথায়, সেটা বুঝতে পারছেন না সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয় ভারতীয় দল। টুর্নামেন্টে দুই দলের আরেকটি ম্যাচ দুয়ারে। তাই ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে আগের সেই বিতর্কিত ঘটনার প্রসঙ্গ।
ওই ‘করমর্দন কাণ্ড’ নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর। টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে হাত না মেলাতে অনুরোধ করায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ক্ষোভের কেন্দ্রে ছিলেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট। জিম্বাবুয়ের এই ম্যাচ রেফারির অপাসারণ দাবি করেছিল তারা। একপর্যায়ে টুর্নামেন্ট থেকে পাকিস্তানের সম্ভাব্য সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জনও শোনা যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা মাঠে যায় দেরিতে এবং খেলাও শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। পাইক্রফট ‘ক্ষমা চেয়েছেন’ দাবি করে খেলা চালিয়ে যেতে রাজি হয় পাকিস্তান। সব মিলিয়ে তৈরি হওয়া ঘোলাটে পরিস্থিতির জন্য ভারতকে একরকম দায়ী করেছেন আজহারউদ্দিন। এনডিটিভি’র সঙ্গে আলাপকালে ৯৯ টেস্ট ও ৩৩৪ ওয়ানডে খেলা সাবেক ব্যাটসম্যান বলেছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে রাজি হলে সব রীতি মেনেই খেলা উচিত ভারতের। ‘আমার মনে হয়, করমর্দনে দোষের কিছু ছিল না। যখন ম্যাচ খেলছেন, তখন সবকিছু মেনে নিয়েই খেলা উচিত, যেমন করমর্দন করা বা অন্য কিছু। আমি জানি না, (করমর্দন করলে) সমস্যাটা কী ছিল। সত্যিই বুঝতে পারছি না। কিন্তু করমর্দন করলে দোষের কিছু হতো বলে আমার মনে হয় না।
আজহারউদ্দিন বলেন, ‘যখন প্রতিবাদ করছেন, তখন না-ই খেলতে পারেন। কিন্তু প্রতিবাদের মধ্যে খেলার কোনো মানে হয় না। যখন রাজি হলেন যে, পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলবেন না, কেবল আইসিসির আসর কিংবা এশিয়া কাপে খেলবেন, তখন পুরো তীব্রতা নিয়ে খেলা উচিত। অন্যথায়, খেলার কোনো প্রয়োজনই নেই।’ দুবাইয়ে গত রোববার সুপার ফোরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। পুরোনো বিতর্কের জোয়ারে দেখা যেতে পারে নতুন স্রোত।