
আগে টুকটাক হলেও গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, নির্বাচনের প্রতিমানুষের কোন আগ্রহই ছিল না। সেই ট্রমা যেন এখনও কাটেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন নিয়ে তাই শঙ্কা প্রকাশ করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন। সে বর্জনে যোগ হয়েছে আরও একটি নাম। নির্বাচনের আগের দিন গতকাল রোববার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হিসেবে ঢাকা বিভাগের পরিচালক পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান। ১ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন থাকলেও এরপর এ নিয়ে চারজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন। রেদুয়ানের আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্যাটাগরি-২-এ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাউন্সিলর লুতফর রহমান ও কাঁঠালবাগান গ্রিনক্রিসেন্টের মেজর ইমরোজ এবং রাজশাহী বিভাগের পরিচালক প্রার্থী হাসিবুল আলম। তবে নির্ধারিত দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ব্যালট পেপারে তাদের নাম থাকবে।
গতকাল বিকালে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের ‘রাতের ভোটকেও হার মানিয়েছে এবারের বিসিবি নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘রাতের ভোট তো...তবু তো ওরা ব্যালট বাক্স ভরেছে, সেটা আলাদা জিনিস। এরা তো সুকৌশলে এমন কাজ করছে, সেটা (রাতের) ব্যালট বাক্সকেও হার মানিয়ে ফেলছে।’
ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক হওয়ার দৌড়ে তার সঙ্গে ছিলেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন। রেদুয়ান সরে দাড়ানোয় আমিনুল ও নাজমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন। যদিও ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে আমিনুলের ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে নাজমূলের কাউন্সিলর হওয়া নিয়ে আপত্তি আছে রেদুয়ানের। তার অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্রিকেটীয় কোনো কার্যক্রমে না থেকেও শেষ মুহূর্তে বিসিবি নির্বাচনের জন্যই অ্যাডহক কমিটির সদস্য হয়েছেন এই দুজন।
নির্বাচনে ই-ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রেদুয়ান বলেছেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বহুবার দেখা করতে চেয়েছি, আমার সঙ্গে দেখা করেনি। আমি দরখাস্তও দিতে চেয়েছিলাম যে, ই-ব্যালট ও পোস্টাল ব্যালট শুধু তাদেরকেই দেবেন, যারা দেশের বাইরে অথবা হাসপাতালে রোগী হিসেবে আছেন। যারা সুস্থ, যারা ঘুরেফিরে খাচ্ছেন, যারা কাউন্সিলর হয়েছেন, যারা হোটেলে বসে আমোদণ্ডফুর্তি করছেন, তারা কেন ই-ব্যালটে ভোট দেবেন?’