
আন্তর্জাতিক আসরে স্বর্ণপদক সোনার হরিণের মতো বাংলাদেশের কাছে। শুধু সাউথ এশিয়ান গেমস ছাড়া সোনার পদক দেখা মেলা ভার। যদিও সেই প্রত্যাশা নিয়েই ফি গেমসে অংশ নেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। একই প্রত্যাশা নিয়ে বাহরাইনের এশিয়ান যুব গেমসে অংশ নিচ্ছেন ১৩ ডিসিপ্লিনে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে ৮১ জনের বহর। এবারের আসরে বাংলাদেশের অংশ নেওয়া ডিসিপ্লিনগুলো হলো- অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, গলফ, জুডো, কাবাডি, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, ভারোত্তোলন ও কুস্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার গেমস শুরু হলেও গতকাল রোববার কাবাডি ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে আসর শুরু হয়ে গেছে। আজ থেকে পর্যায়ক্রমে যাবেন অন্য ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরাও। রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচণ্ডবাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলের শেফ দ্য মিশন ব্রি. জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় বিওএর কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ও মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) এবিএম শেফাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালে সিঙ্গাপুরে এবং ২০১৩ সালে চীনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ গেমসেও অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম আসরে চার ডিসিপ্লিনে ১২ জন এবং দ্বিতীয় আসরে ৮টি ডিসিপ্লিনে ১৯ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা ফিরেছেন খালি হাতে। এবারের গেমসে পদক জয়ের প্রত্যয় নিয়ে আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেন ক্রীড়াবিদরা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিওএর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিরবিচ্ছিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
ব্রি. জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিগত দুটি গেমসে কোন উল্লেখযোগ্য সাফল্য না থাকলেও এবারের আসরে কাবাডি, কুস্তি ও গলফে আমরা পদকের প্রত্যাশা করছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই তিন ডিসিপ্লিনের দায়িত্বে যারা আছেন তারা আমাকে পদক জয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সীমিত অংশগ্রহণ এবং অনুশীলনে ব্যবহৃত যুগোপযোগী সরঞ্জমাদির অপ্রতুলতার কারণে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং প্রতিযোগিদের নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা এসব দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’ এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে লাল সবুজের পতাকা বহন করবেন দুই তরুণ ক্রীড়াবিদ বক্সার সানি আহমেদ বেপারি ও কাবাডি দলের অধিনায়ক তাহরিম।