
ঘোষণা আগেই দেওয়া ছিল, মাকাবি তেল আবিবের কোনো সমর্থককে নিজ স্টেডিয়ামে স্বাগত জানাবে না অ্যাস্টন ভিলা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে ভিলা পার্কে সফরকারী দলের কোনো সমর্থককে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ক্লাবটির সমর্থকরা। বৃটিশ শহর বার্মিংহামে ইউরোপা লিগের এই ম্যাচকে ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। এই ম্যাচ ঘিরে মোতায়েন করা হয় প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মকর্তা। যদিও ইসরায়েলের সমর্থকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, তবুও পুলিশ ধারণা করেছিল, প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েল সমর্থকদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ হতে পারে। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট টম জয়েস জানান, ‘বিভিন্ন পক্ষের বিক্ষোভের অনুমতি থাকবে, তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো বার্মিংহামের সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যারা ম্যাচে যাচ্ছেন না, তাদের আমরা অনুরোধ করব ওই এলাকায় না যেতে, কারণ ব্যাপক যানজট ও চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’
বার্মিংহাম বৃটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, যেখানে উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ইসরায়েলি সমর্থকদের মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত নেয়নি অ্যাস্টন ভিলা, উয়েফা বা ব্রিটিশ সরকার। বরং স্থানীয় পুলিশি পরামর্শ ও নিরাপত্তা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের বাইরে কিছু ইসরায়েলি সমর্থককে দেখা যায়, যদিও তারা মাঠে ঢোকার অনুমতি পাননি। তার উপর মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের ইউরোপে বিতর্কিত খ্যাতি আছে। গত বছর আমস্টারডামে আয়াক্সের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের আচরণ নিয়ে ইসরায়েল ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা সেখানে বিরোধী স্লোগান, ফিলিস্তিনি পতাকা নষ্ট ও সহিংস আচরণে জড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া গত মাসেই নিজেদের মাঠেই মাকাবি ও হাপোয়েল তেল আবিবের মধ্যকার সিটি ডার্বি স্থগিত করতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, স্টেডিয়ামের ভেতরে দাঙ্গা ও সহিংসতার আশঙ্কায়। এদিকে মাঠের লড়াইয়ে ইয়ান মাতসেন ও ডনিয়েল মলেনের গোলে ইসরায়েলি ক্লাবটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে উনাই এমেরির দল।