ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ বাঁচাল বাংলাদেশ

আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ বাঁচাল বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের যুবাদের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। পরের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। তাই সিরিজ বাঁচাতে হলে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক। চমৎকার সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তান যুবাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক এই ওপেনার। গতকার রোববার রাজশাহীতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ২০৮ রান ২৫ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের যুবারা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। প্রথমটিতে আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে ম্যাচ শেষ হলে বাংলাদেশ জিতেছিল ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে। সিরিজে আগের তিন ম্যাচে কেবল ১৭ রান করতে পেরেছিলেন আজিজুল। এবার ১১৮ বলে তিন ছক্কা ও সাত-চারে ১০০ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। যুব ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, দেশের মাটিতে প্রথম। তার আগের সেঞ্চুরিটিও ছিল আফগানদের বিপক্ষে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। রান আউট হয়ে যান খালিদ আহমাদজাই। ইনিংসের শেষ দিকে সফরকারীদের আরও দুই ব্যাটসম্যান ফেরেন রান আউট হয়ে। মন্থর ব্যাটিংয়ে আরেক ওপেনার ওসমান সাদাত ৭ চারে ১০৬ বলে করেন ৬৮ রান। আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফায়সাল খান ফেরেন শুধু ৩ রানে। মিডল অর্ডারে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি উজাইরউল্লাহ নিয়াজি (৩২) ও মাহবুব খান (৪০)। পরের ব্যাটসম্যানদের কেউ বিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন সামিউন বশির। রান তাড়ায় এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক আজিজুল। দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার শাহরিয়ার আহমেদ। থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কালাম সিদ্দিকি ও রিজান হাসান। ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলকে টানেন আজিজুল ও ফরিদ হোসেন। দুইজনে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। ৪৩ বলে ২৭ রান করে ফরিদ ফেরার পর প্রায় একই দলকে টানেন আজিজুল। নয়ে নেমে তাকে সঙ্গ দেন শারিয়া আল-আমিন। তাদের ৪৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় জয়ের কাছে। সেখান থেকে বাকিটা সারেন স্বাধীন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত