
১৫ নভেম্বর থেকে ঢাকায় বসছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের আসর। অনেক আশা নিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খেলতে কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ‘ফ্লাইট জটিলতায়’ বাংলাদেশের কাবাডি বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না দলটির। আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া নারী বিশ্বকাপে এখন অংশ নেবে ১১ টি দেশ। এরইমধ্যে সকালে জাঞ্জিবার ঢাকায় এসেছে। বিকালে আসছে ভারত। আর্জেন্টিনা দল এই প্রথমবার নারীদের কাবাডি বিশ্বকাপে খেলার জন্য আশায় বুক বেঁধেছিল। তাদের দলে অ্যালিন ও গ্যাবির মতো খেলোয়াড় রয়েছেন। ফুটবলের মতো তাদেরও কাবাডির ভবিষ্যৎ ‘ম্যারাডোনা-মেসি’ ভাবা হচ্ছে! তাদের হেড কোচ রিকার্ডো একুনাও তাদের কাবাডির ভবিষ্যৎ ম্যারাডোনা ও মেসি বলে আখ্যায়িত করে রেখেছেন। আগেই তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘নারী দল গঠন হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনা নারী দল প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক কাবাডিতে অংশ নেয়। আমেরিকার সার্কেল কাবাডিতে অংশ নিয়ে ইংল্যান্ডকে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের। তবে নারী বিশ্বকাপে এই প্রথম অংশ নিবে আর্জেন্টিনা। শুধু তাই নয়, এই ফরম্যাটের কাবাডিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক হতে যাচ্ছে তাদের। আমাদের দলে দুজন খেলোয়াড় আছেন। যাদের কাবাডির ভবিষ্যতের ম্যারাডোনা-মেসি বলতে হবে।’
এরপরই বর্ষীয়ান কোচ যোগ করেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনা দলটিতে পেশাদার খেলোয়াড় নেই। সবাই শৌখিন খেলোয়াড়।
তাদের ঘরোয়া কাবাডি মাত্র চার দল নিয়ে হয়ে থাকে। শুধু কাবাডি খেলেন না নারী খেলোয়াড়রা, পাশাপাশি জুডো, রাগবি, বক্সিং, কুস্তি, অ্যাথলেটিকস, রোইং ও হ্যান্ডবলও খেলে থাকেন। শৌখিন হলেও তাদের ৮০ ভাগই স্কুল শিক্ষক। বিশ্বকাপ কাবাডিতে খেলে যদি র্যাঙ্কিংয়ে নাম উঠানো যায়। এছাড়া ঢাকায় অন্তত একটি ম্যাচ জেতারও লক্ষ আছে।’ কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে আনার জন্য সবরকমের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন শেষ মুহূর্তে এসে তাদের না আসার বিষয়টি জানিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’