
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান দ্বাদশ আসরে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা মিলেছে চতুর্থ ম্যাচেই। শনিবার সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা। সিলেটে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নোয়াখালী এক্সপ্রেস তোলে ১৪৩ রান। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় সিলেট টাইটান্স শেষ দিকে ভালো অবস্থানেই ছিল। জয়ের জন্য তখন তাদের প্রয়োজন ছিল ১৮ বলে ২৫ রান। ঠিক সেই সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মেহেদি হাসান রানা। দ্বিতীয় ইনিংসের ১৮তম ওভারে টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম শিকার হন সিলেট অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। উইকেটের পেছনে বল ধরলেও প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি। পরে টিভি রিপ্লেতে বল ব্যাটে লাগার প্রমাণ মেলায় সিদ্ধান্ত বদলে আউট ঘোষণা করা হয়।
পরের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নাসুম আহমেদ। আর শেষ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন খালেদ আহমেদ। এতে পূর্ণ হয় রানার হ্যাটট্রিক। তবে ব্যক্তিগত কীর্তি গড়লেও ম্যাচ জিততে পারেনি নোয়াখালী এক্সপ্রেস। শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ উইকেটে জয় পায় সিলেট টাইটান্স। মেহেদি হাসান রানা এই ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তার এই পারফরম্যান্সে বিপিএলের ইতিহাসে নবম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড যুক্ত হলো। বিপিএলের ইতিহাসে নবম হলেও, পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন রানা।
তিনি ছাড়া পাকিস্তানের দু’জন, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন করে বোলার বিপিএলের মঞ্চে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েন।
প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিপিএলে হ্যাটট্রিক করেন পেসার আল-আমিন হোসেন। এরপর অফস্পিনার আলিস আল ইসলাম, পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং শরিফুল ইসলাম হ্যাটট্রিকের তালিকায় নাম লেখান। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান ছিলেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ সামি। ২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে খেলতে নামা সামি।
বিপিএলের হ্যাটট্রিক :
মোহাম্মদ সামি (পাকিস্তান) দুরন্ত রাজশাহী, প্রতিপক্ষ-ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, সাল ২০১২।
আল আমিন হোসেন (বাংলাদেশ) বরিশাল বুলস, প্রতিপক্ষ-সিলেট সুপার স্টারস, সাল-২০১৫।
আলিস ইসলাম (বাংলাদেশ) ঢাকা ডায়নামাইটস, প্রতিপক্ষ- রংপুর রাইডার্স, সাল-২০১৯।
ওয়াহাব রিয়াজ (পাকিস্তান) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, প্রতিপক্ষ-খুলনা টাইটানস, সাল-২০১৯।
আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ঢাকা ডায়নামাইটস, প্রতিপক্ষ-চিটাগং ভাইকিংস, সাল-২০১৯।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, প্রতিপক্ষ-সিলেট সানরাইজার্স, সাল-২০২২।
শরিফুল ইসলাম (বাংলাদেশ) দুর্দান্ত ঢাকা, প্রতিপক্ষ-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, সাল-২০২৪।
মঈন আলী (ইংল্যান্ড) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, প্রতিপক্ষ-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সাল-২০২৪।
মেহেদী হাসান রানা (বাংলাদেশ)-নোয়াখালী এক্সপ্রেস, প্রতিপক্ষ-সিলেট টাইটানস, সাল-২০২৫।