রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে যায় এবং সে যা বলে তাকে সত্য মনে করে, সে যেন মুহাম্মাদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা অস্বীকার করল।’ (আবু দাউদ : ৩৯০৪, তিরমিজি : ১৩৫)। কাহিন হলো ভবিষ্যতের গোপন তথ্য জানার দাবিদার, যারা জিনদের সাহায্যে খবর পায় বলে দাবি করে। আগে আরবে এ ধরনের লোকদের কাহিন বলা হতো। জ্যোতিষী হলো, যে ব্যক্তি হাত দেখে, নামের অঙ্ক মিলিয়ে, জন্মতারিখ দেখে কিংবা জ্যোতিষশাস্ত্রের ভিত্তিতে মানুষের ভবিষ্যৎ জানার দাবি করে।
ফ্যাসাদ ও কুফরের ভয়াবহতা : এই হাদিস স্পষ্টভাবে বলছে যে, এদের কথা বিশ্বাস করা ইসলামি আকিদার পরিপন্থি, এমনকি তা কুফর পর্যন্ত হতে পারে। কারণ অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহতায়ালার কাছে আছে।’ (সুরা নামল : ৬৫)।
হাদিসের মূল বার্তা : এই হােিসর মাধ্যমে মুসলমানদের সতর্ক করা হয়েছে, যাতে তারা জ্যোতিষ, গণক, কবিরাজ, রাশি-পত্র, টোটকা, তাবিজ, ফুস্কুর প্রভৃতির পেছনে না যায়। ইসলাম শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করতে ও শিরকমুক্ত থাকতে শিক্ষা দেয়।
শিক্ষণীয় বিষয় : রাশিফল, জ্যোতিষ, টারো কার্ড, হাত দেখা- এসব কিছুর প্রতি বিশ্বাস রাখা হারাম এবং ঈমানের জন্য বিপজ্জনক। শুধু আল্লাহতায়ালাই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখেন। কোনো বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে, তাবিজ-কবচ বা গণকের কাছে নয়।
এসব বিষয় ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শিরক বা কুফর পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘বলুন, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যারা আছে, তারা অদৃশ্য জানে না; অদৃশ্য জানে একমাত্র আল্লাহ।’ (সুরা নামল : ৬৫)।