চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ম্যাচের এক মিনিটেরও কম সময়ে গোল হজম করে দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল শোধ করে সহজেই শেষ আটে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ এসেছিলো, কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুর জুনিয়র। অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে সেখানে নাটকীয়তার পর শেষ আট নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ধ্রুপদি এই লড়াইয়ে অ্যাটলেটিকোকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলায় রিয়ালকে অ্যাটলেটিকোকে ১-০ গোলে হারালেও দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ সমতায় ছিল ২-২ গোলে।
টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পে, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে এবং আন্তোনিও রুদিগার লক্ষ্যভেদ করলেও মিস করেছেন লুকাস ভাসকেজ। অন্যদিকে, অ্যাটলেটিকোর হয়ে আলেক্সান্দার সোরলথ, আনহেল কোরয়ো গোল করলেও মিস করেছেন আলভারজে ও মার্কোস লরেন্তে। এর মধ্যে আলভারেজের গোল বাতিল হয়েছে অদ্ভু কারণে। ডান পায়ে শট নেওয়ার আগ মুহূর্তে কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে পিছলে পড়েন আর্জেন্টাইন তারকা। ফলে প্রথমে তার বাঁ পা বলে লাগার পড় ডান পায়ের শটে গোল হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রেফারি। আর তাই ‘ডাবল টাচ’ হওয়ায় বল জালে জড়ালেও বাতিল হয় সেই গোল। শেষ পর্যন্ত এটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আর এ নিয়ে বিতর্ক দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য একান্তই অ্যাতলেটিকোর। প্রথম লেগের লিড হারাতে এক মিনিটও লাগেনি রিয়ালের। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করেন কনর গ্যালাগার। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি আতলেতিকোর সবচেয়ে দ্রুততম গোল।
২৫ মিনিটে দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে রিয়ালকে বাঁচান থিবো কোর্তোয়া। ৩৫ মিনিটে আরও একবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। তবে এবারও অল্পের জন্য হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। একটু পর ফের আলভারেজকে হতাশ করেন কোর্তোয়া।
৬৮ মিনিটে রিয়ালের সামনে চলে আসে ম্যাচের অন্যতম সেরা সুযোগ। দারুণ গতিতে অ্যাতলেটিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপরেই তাকে ফাউল করতে বাধ্য হন ক্লেমেন্ত লংলে। পেনাল্টি পেয়ে যায় মাদ্রিদ। যদিও সেটা মিসই করে বসেন ভিনিসিয়ুস।
ম্যাচের বাকি সময়টা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে পার হলেও গোল পাওয়া হয়নি কারোরই। ৯০ মিনিট আর ১২০ মিনিটের খেলা শেষেও অ্যাগ্রিগেট ছিল ২-২। সেখান থেকে টাইব্রেকে রিয়াল পেয়েছে মনে রাখার মতো এক জয়।
আবা/এসআর/২৫