
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দেড়শ করতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শেষদিকে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন মোহাম্মদ নবি। ১৯তম ওভারে দুশমন্ত চামিরাকে টানা তিন বলে তিন বাউন্ডারি হাঁকালেন মোহাম্মদ নবি। আর ২০তম ওভারে ৫ ছক্কায় ৩২ রান তোলেন তিনি। তাতে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান।
আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন নবি।
শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সাদিকুল্লাহ অটল। বিশেষ করে গুরবাজ বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ৮ বলে করেছেন ১৪ রান।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি করিম জানাত। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ৩ বল খেলে করেছেন এক রান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন থুসারা। ৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো আফগানিস্তান তাকিয়ে ছিল অটলের দিকে। তবে হতাশ করেছেন এই তরুণ ওপেনার। থুসারার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তাতে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে আফগানিস্তান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইব্রাহিম জাদরান ও ডারউইস রাসুলি মিলে চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তোলার। তবে ১৬ বল খেলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি রাসুলি। ছয়ে নেমে ব্যর্থ আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নিজের খেলা প্রথম বলেই জীবন পাওয়া এই ব্যাটার ৪ বলে ৬ রান করেছেন।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ইব্রাহিম। উইকেটে থিতু হওয়ার পর গিয়ার পরিবর্তন করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে। বড় শট খেলতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েছেন। ২৪ রান করে ইব্রাহিম ফিরলে ৭৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
নবি ও রশিদ খানের জুটি ৩০ বলে ৩৫ রান যোগ হয় দলের রানের খাতায়। পরে ২৩ বলে ২৪ করে তুষারার বলে বোল্ড হন রশিদ খান।
এরপর রীতিমত ভয়ংকর হয়ে উঠেন নবি। ১৯তম ওভারে তিন বাউন্ডারি আর শেষ ওভারে ওয়াল্লালাগের প্রথম পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে হিসেব ঘুরিয়ে দেন তিনি। ২২ বলে ৬০ রানের ইনিংসে ৩টি চার আর ৬টি ছক্কা হাঁকান নবি।
আবা/এসআর/২৫