অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো অয়ন্ত বালা মাহাতোর। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার এক আদিবাসী পরিবার থেকে উঠে আসা এই কিশোরী জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য দুটি প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামবেন অয়ন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অয়ন্তের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া শুধু তার পরিবার নয়, পুরো সিরাজগঞ্জবাসীর জন্যই গর্বের বিষয়। রায়গঞ্জ উপজেলার গোতিথা গ্রামের মনিলাল মাহাতো ও শেফালি রানি মাহাতোর তিন সন্তানের মধ্যে অয়ন্ত সবার ছোট। এক সময় সীমিত সম্পদের সংসারে বেড়ে ওঠা এই কিশোরী আজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে ফুটবল অঙ্গনে।
অয়ন্তের ফুটবলের হাতেখড়ি হয় স্থানীয় গোতিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। ফুটবলের প্রতি তার অদম্য আগ্রহ দেখে বাবা-মা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন নিমগাছী প্রমিলা ফুটবল একাডেমিতে। সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে নিতেই ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় সে সুযোগ পায় দেশের ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের প্রধান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-তে। বর্তমানে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অয়ন্ত, স্বপ্ন দেখছে আরও বড় কিছু করার।
অয়ন্তের বাবা মনিলাল মাহাতো বলেন, "অভাব-অনটনের মধ্যেও মেয়ের স্বপ্ন পূরণে আমরা চেষ্টা করেছি। আজ সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে—এটা আমাদের জন্য বিশাল গর্বের ব্যাপার।"
অয়ন্তের কোচ ও নিমগাছী প্রমিলা ফুটবল একাডেমির প্রশিক্ষক নিহার রঞ্জন মাহাতো বলেন, "অয়ন্তের সাফল্য শুধু তার নয়, এটি সিরাজগঞ্জবাসীর গর্ব। আমরা আশা করি, সে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস রচনা করবে।"
অয়ন্তের এই সাফল্যে সিরাজগঞ্জবাসীও উচ্ছ্বসিত। তার গ্রামের লোকজন থেকে শুরু করে জেলা ক্রীড়ামহল প্রত্যেকে আশাবাদী, এই মেধাবী ফুটবলার ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে দেশের জন্য আরও বড় কিছু অর্জন করবে।