মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীতে বালু মহালে গ্রামবাসীর হামলায় অন্তত ৫ ড্রেজার শ্রমিক আহত হয়েছে। এসময় একটি ড্রেজারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। যদিও পরে স্থানীয়রা আবার আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা সদরের আধারা ইউনিয়নের চরআব্দুল্লাহ গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ড্রেজার শ্রমিক মো. মোস্তফাকে (৫৫) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত মো. সাইফুরসহ (৪০) বাকীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গ্রামবাসীর দাবি বালু মহালের নির্ধারিত স্থান ছেড়ে গ্রামঘেষে বালু উত্তোলন করার ক্ষোভ থেকেই এ হামলা করা হয়েছে। তবে ইজারাদারের দাবি হচ্ছে নির্ধারিত সীমানাতেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, সকালের দিকে মেঘনা নদীতে বালু কাটা ঘিরে বালু ব্যবসায়ীদের সাথে গ্রামবাসীর ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে নৌ-পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় , মেঘনায় বালুমহাল থাকলেও বালুমহালের লোকজন নির্ধারিত স্থান ছেড়ে নদীর তীরে কাছাকাছি এসে বালু কাটা শুরু করে। এতে স্থানীয়দের ফসলি জমি-ভিটে মাটি ভাঙ্গনের আশঙ্কা তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবাদমুখর ছিল এলাকা।
বৃহস্পতিবার সকালে আবারো চরআব্দুল্লাহ সংলগ্ন নদীতে বালু কাটা শুরু করলে ড্রেজার ও কাটার নিয়ে আসা লোকজনকে ভিটেমাটির রক্ষায় লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে গ্রামবাসী। এসময় বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতা একটি ড্রেজারে অগ্নিসংযোগ করে। পরে নদী তীরের স্থানত্যাগ করে মাঝ নদীতে চলে যায় বালুমহালের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় নৌপুলিশ।
এবিষয়ে চরআব্দুল্লাহ নৌপুলিশের ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, বালুকাটা নিয়ে গ্রামবাসীর আপত্তি থাকায় ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে ।