অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পীরগঞ্জের সাবেক এমপি নুর মোহামমদ জেল হাজতে প্রেরণ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় রংপুররে সিনিয়র স্পেশাল আদালতে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশে দেন।
রংপুরে ‘ডিগবাজী’ নেতা হিসেবে পরিচিতি নুর মোহাম্মদ মন্ডলরে বিরদ্ধে দুদক আইনে অবধৈ সম্পদ অর্জনের মামলায় আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ, তার মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রেসহ ৩১৩০.৭৩ একর জমি এবং আনুমানকি ৯ কোটি টাকা মূল্যরে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।
তিনি পীরগঞ্জ উপজলো আওয়ামী লীগরে উপদেষ্টা ও সাবেক উপজলো চয়োরম্যান।
এর আগে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে দুই বার এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি থেকে একবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। শেষের বার আওয়ামী লীগ থেকে হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যান। দেশের তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের আমলে সুযোগ নিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমশিন (দুদক) রংপুর সমন্বতি কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরচিালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে নুর মোহাম্মদ মন্ডলের সব সম্পদ এর আগে ক্রোক করা হয়েছে। দুদকরে পক্ষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রংপুর সমন্বতি র্কাযালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবল হোসেন রংপুররে সিনিয়র স্পেশাল আদালতে নুর মোহাম্মদ মন্ডলরে সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা, সইে সঙ্গে তার নামরে আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রজি করার আবদেন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করনে।
দুদক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলরে মালিকানাধীন পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর জমরি ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল পিকনিক স্পট কাম বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে আটটি হিসাবে অনেক টাকা গচ্ছিত আছে। তার নামে অবধৈ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনে মামলা রয়েছে। যার নম্বর ২৬/২০২০। ওই পিকনিক স্পট কাম বিনোদনকন্দ্রে আনন্দনগর ক্রোক করে পীরগঞ্জ থানার ওসি কে রিসিভার নিয়োগ দয়ো হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই সম্পদের জিম্মাদার থাকবেন।
তিনি আরও জানান, ক্রোকরে সম্পত্তি কোনোভাবে অন্যত্র স্থানান্তর এবং হস্তান্তর এবং ওই সম্পত্তি সংশিষ্ট কোনো লেনদেন বা ওই সম্পত্তিকে কোনোভাবে দায়মুক্ত করা আইনগতভাবে নিষদ্ধি করছেনে আদালত। জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা সাবেক দুই বারের এমপি, তিনবারের উপজলো চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডলরে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর থেকে ২০২০ সালে সম্পদরে তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।