অনলাইন সংস্করণ
২১:৫৫, ০২ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় গণভোটের আদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে (প্রধান উপদেষ্টা) জারি করতে হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এনসিপির বরিশাল জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, স্বৈরাচারের প্রধান চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিতে হলে সেটা হবে আন্দোলনের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার মতো। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া গণভোটের আদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করতে হবে। যদি নির্বাচনের আগে বাকি কাজগুলো হয়ে যায়, তাহলে নির্বাচন কার্যক্রমকে আমরা ফেসিলিটেট করব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাপলা প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কোনো মতামত দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন। এতে করে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সুতরাং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন যেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তাতে ভোটের অংশগ্রহণ ভালোই থাকবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, তিনশো আসনেই সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ চলছে। আমরা যেন একটি গুণগত ও কাঠামোগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে যেতে পারি—এর বড় দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর।
শাপলা প্রতীক নিয়ে তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক কেন দেবে না তার ব্যাখ্যা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। যার ফলে কমিশন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয় তখন তার ব্যাখ্যাও দেবে কিনা—এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আসাদ বিন রনি, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক প্রমুখ।