
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ১০ লক্ষ গাছ রোপণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে চসিকের শীতকালীন বৃক্ষ পরিচর্যা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান মেয়র। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও মিডআইল্যন্ডের গাছের পরিচর্যা নেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে নতুন গাছ লাগানো হচ্ছে।
সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন ও গ্রিন চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ১০ লক্ষ গাছ রোপণে কাজ করছি। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে সবুজায়নের মাধ্যমে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকেও কাজে লাগানো হচ্ছে সবুজায়নে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি অঞ্চলগুলির জন্য পরিচিত, তাই এখানে গাছের গুরুত্ব আরও বেশি। শহরের দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার গাছপালা শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, তা ভূমি ক্ষয় রোধ, বন্যা ও ভূমিধস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে নগরীর আশপাশের বনভূমি ও সবুজ অঞ্চলগুলি রক্ষা করা, নদী ও সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় গাছ রোপণ করা, এই সব উদ্যোগ চট্টগ্রামের পরিবেশ ও বাসযোগ্যতা উন্নত করতে সহায়তা করবে। গাছ কেবল পরিবেশের শোভা নয়, চট্টগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রারও একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি শহরের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং নিঃসন্দেহে চট্টগ্রামকে আরও সবুজ, নিরাপদ এবং বাসযোগ্য করে তোলে।
মেয়র বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে হবে, তাই বন উজাড়, পাহাড় কাটা এবং গাছ কাটা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, কানাডার টরন্টো শহরে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। আমাদের দেশেও এমন শাস্তির বিধান থাকা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যায় এবং প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোছাইন খোকা, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয়, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা প্রমুখ।