
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়ন জমা পড়েছে এক হাজারেরও বেশি। ২৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১৫৫ জন, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬৯ জন, বিভিন্ন প্যানেল থেকে ১৬৩ জন এবং ১৭টি হল সংসদের বিভিন্ন পদে ৪৬১ জনসহ মোট ১০১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে সর্বাধিক ১৩ জন মনোনয়ন নিয়েছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে। আর হল সংসদে সর্বাধিক মনোনয়ন পড়েছে মতিহার হলে, যেখানে মোট ৪৬ জন ফরম নিয়েছেন।
রবিবার পাঁচ দিনের মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম শেষে রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান এবং প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শারমিন হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদে দ্বিতীয় সর্বাধিক ১২ জন মনোনয়ন নিয়েছেন পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৬ জন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ৮ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ৮ জন, সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক ৩ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক ৫ জন, সহকারী সংস্কৃতি সম্পাদক ৬ জন, মহিলা সম্পাদক ৫ জন, সহকারী মহিলা সম্পাদক ৩ জন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ৯ জন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ৪ জন, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক ৫ জন, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক ৩ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ৩ জন, সহকারী বিজ্ঞান সম্পাদক ৬ জন, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক ২ জন, সহকারী সম্পাদক ৮ জন, সহকারী পরিবেশ সম্পাদক ১০ জন এবং নির্বাহী সদস্যের ৪টি পদে মোট ৪০ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও প্যানেল থেকেও মনোনয়ন জমা পড়েছে। এর মধ্যে গণ ছাত্রজোট ২৩ জন, ছাত্রদল ২৬ জন, সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ ১৫ জন, ছাত্রশিবির ২১ জন, নাজমুস সাকিব প্যানেল ৬ জন, আফরিন জাহান প্যানেল ২৩ জন, তৌহিদুল ইসলাম প্যানেল ৭ জন, আধিপত্যবাদ বিরোধী ঐক্য প্যানেল ২১ জন, অপরাজেয় ৭১ জাগ্রত প্যানেল ১৩ জন এবং পদ উল্লেখ ছাড়া ৯ জনসহ মোট ১৬৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছেন।
রাকসুর (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, “গতকালের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আজ ও আগামীকাল (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনের ফরম বিতরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী অন্যান্য কার্যক্রম যথাসময়ে চলবে। রাকসুর নির্বাচন নির্ধারিত তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে।”