অনলাইন সংস্করণ
১৬:৩৬, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগকে জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি স্কলার শায়খ মিজানুর রহমান আজহারি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজহারি লিখেছেন, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগে অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করে অযাচিতভাবে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। তিনি এ সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানান।
তার ভাষায়, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে প্রাথমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক না থাকা দুঃখজনক, অথচ সংগীতের মতো বিষয়ের জন্য ডেডিকেটেড শিক্ষক নিয়োগ স্পষ্টতই জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের নিরাপত্তা চান। এ ক্ষেত্রে সংগীত নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এর আগে, একই বিষয়ে প্রতিবাদ জানান শায়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া বহুকাল ধরে গণমানুষের প্রাণের দাবি হলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ সরকার সংগীত শিক্ষকের নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশে অল্পসংখ্যক মানুষ সন্তানকে গান শেখায়, অথচ অধিকাংশ অভিভাবক চান না স্কুলে গান শেখানো হোক। প্রায় সব পরিবারই সন্তানদের জন্য আলাদা প্রাইভেট ধর্মীয় শিক্ষক রাখেন বা মক্তবে পাঠান।
তিনি মনে করেন, যদি সরকার স্কুলে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিত, তাহলে অভিভাবকদের বাড়তি খরচ ও ঝামেলা কমত এবং শিক্ষার্থীদেরও সময় বাঁচত।
শিক্ষার মান অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, রাষ্ট্র প্রতি মাসে প্রাথমিক শিক্ষায় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, তবুও শিক্ষার মান বাড়ছে না। একদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের আস্থা কমছে, অন্যদিকে কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধ বাড়ছে। এ অবস্থায় নৈতিক শিক্ষার উন্নয়নই এখন জরুরি।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণআকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে বাইরে থেকে আমদানি করা সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চিরাচরিত পথ পরিহার করতে হবে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের পথেই এগোনো উচিত।