
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ছাত্র সংসদের খসড়া গঠনতন্ত্রে ভোটার, প্রার্থী ও সদস্যপদ বাতিল সংক্রান্ত ধারা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা আপত্তি এবং সংশোধনের দাবি উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, গঠনতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও প্রতিনিধিত্বমূলক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে।
তাদের অভিযোগ, বর্তমান খসড়ায় ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। শিক্ষার্থীদের মতে, একটি স্পষ্ট বয়সসীমা নির্ধারণ করা হলে গণতন্ত্রের মূলনীতি ও প্রাসঙ্গিক আইন অনুযায়ী প্রার্থী ও ভোটারের যোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি কমবে।
এছাড়া প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সম্প্রসারণের দাবি জানান তারা। অভিযোগ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে পারলেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষত যেসব বিভাগে মাস্টার্স বা এমফিল চালু নেই, সেসব বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য এই যৌক্তিক সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যারা অনার্স শেষে প্রফেশনাল কোর্স, ইনস্টিটিউট বা সান্ধ্যকালীন শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি আছেন, তাদেরও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
সদস্যপদ বাতিল সংক্রান্ত ধারা নিয়েও শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এই ধারা অস্পষ্ট হওয়ায় কেন এবং কী প্রক্রিয়ায় সদস্যপদ বাতিল হবে তা পরিষ্কার নয়। তাই শর্ত ও প্রক্রিয়া স্পষ্ট, ন্যায্য ও বৈষম্যহীনভাবে নির্ধারণ করার আহ্বান জানান তারা।
শিক্ষার্থীদের মতে, এসব সংশোধনী কার্যকর করা হলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (নাকসু) নির্বাচন আরও গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায্য হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, তাদের প্রস্তাবগুলো গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।