অনলাইন সংস্করণ
১৭:২৬, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ভোট গণনার দৃশ্য কেন্দ্রগুলোর সামনে এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। টানা ৮ ঘণ্টা ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলে এই কার্যক্রম। এরপর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে গণনা শুরু করেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
রাত ১২টার আগে ফলাফল প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সারাদিনের ভোটগ্রহণে কোনো বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটগ্রহণ শেষে বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তারা ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। কে জিতবেন—তা নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এর আগে, এদিন বেলা ৩টার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যিনি জিতবেন এবং যিনি বিজেতা হবেন, সবাই ফলাফল মেনে নেবেন। তারা স্বীকার করবেন যে, কোথাও কোনো স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে গড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জহুরুল হক হলে মোট ভোটার ছিল ১,৯৬৩ জন, যার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১,৬৫৮ জন। এতে উপস্থিতির হার দাঁড়ায় ৮৩.৪৩ শতাংশ। এস এম হলে ৬৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৫২ জন, যা ৮২.৯৩ শতাংশ। জগন্নাথ হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ২,২২২ জন; ভোট পড়েছে ১,৮৩১টি—এটি ৮২.৪৫ শতাংশ উপস্থিতি। তবে রোকেয়া হলে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল। ৫,৬৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩,৯০৭ জন, যা ৬৯ শতাংশ।
ডাকসু নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন।