
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন বা যেকোনো কর্মসূচি আয়োজনের আগে অনুমতি নিতে হবে ছাত্র উপদেষ্টা অফিস থেকে। এমন নির্দেশনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র উপদেষ্টা অফিসে তালিকাভুক্ত সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বা সমিতি ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। যারা তালিকাভুক্ত হতে চায়, তাদের গঠনতন্ত্র, উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে হবে।
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, এতে মত প্রকাশ ও যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনের অধিকার হুমকির মুখে পড়বে।
সাদ্দাম হোসেন হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাহাত আব্দুল্লাহ তার এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা কি এখন মানববন্ধনও করতে পারবে না? প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে, তবে সেটিই তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আন্দোলন কখনো অনুমতি নিয়ে হয় না। প্রয়োজনেই আন্দোলন শুরু হয়।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে সামরিক ক্যাম্প বানাতে চাইছে। এবার কি চায়ের দোকানে গল্প করতেও অনুমতি লাগবে? বিশ্ববিদ্যালয় সেনানিবাস নয়—এখানে মত প্রকাশের অধিকার শিক্ষার্থীর জন্মগত অধিকার।’
শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় ক্যাম্পাসে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।