অনলাইন সংস্করণ
১৭:৪২, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি বা জালভোটের কোনো ঘটনা প্রমাণিত হলে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদি কেউ কারচুপি বা জালভোট প্রমাণ করতে পারে, আমি পদত্যাগ করব, এমনকি আমার পেনশনের টাকাও নেব না।’
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান এ কথা বলেন।
জাকসুর সিইসি গণমাধ্যমকে বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। কারো ইচ্ছে হলে বর্জন করবেন, আবার কারো ইচ্ছে হলে গ্রহণ করবেন। এটি একটি গণতান্ত্রিক অধিকার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাভ-লোকসানের হিসাব দেখে আমরা ভোট গণনার কাজ করছি না। জাকসুর নিজস্ব বিধি রয়েছে, আমরা কেবল সেই বিধি অনুসরণ করে কাজ করছি।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮৯৭ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং নারী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন।
নির্বাচনে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল অংশ নিলেও ভোট শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। বর্জনকারী প্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের 'সম্প্রীতির ঐক্য', বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের 'সংশপ্তক পর্ষদ', স্বতন্ত্রদের 'অঙ্গীকার পরিষদ' এবং আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।