
দীর্ঘ দুই দশকের অপেক্ষা ও নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত উপাসনালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদ্বীপ এলাকায় নবনির্মিত তিনটি উপাসনালয়ের নামফলক উন্মোচন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
নানা ধর্মের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ধর্মীয় চর্চার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মিত এই তিনটি ভবনে উপাসনা করবেন সনাতন, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এই উপাসনাস্থল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ হিসেবে কবি নজরুলের দর্শনকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছি। যতদিন থাকবো, সকল ধর্মের মানুষের মাঝে এই সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের শুরু থেকেই উপাসনালয়ের দাবি ছিল, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে। শুরুতে নানা কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও অবশেষে তা বাস্তবায়ন করতে পেরে আমি স্বস্তি বোধ করছি। এখানে এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারবেন— যা মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উপাসনাস্থলের কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে, তবে সময় নিয়ে তা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার।
এছাড়া ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে সনাতন, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের দাবি ছিল। বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে অল্প সময়ের মধ্যেই সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হওয়ায় বক্তারা উপাচার্য ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।