ওপার বাংলার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী নারীদের সামাজিক অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপটে তিনি উল্লেখ করেন, নারীদের এখনও বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়, এবং বেশিরভাগ বাধা আসে নারীদের কাছ থেকেই, যারা নিজেরাও পুরুষতন্ত্রের শিকার।
লগ্নজিতা বলেন, পরিবারের জ্যেষ্ঠ নারী সদস্যদের থেকে শুরুতে নানা বাধা আসে । গায়িকার কথায়, ‘আমি আজ দশটা কথা বলতে পারলে, ওরা হয়ত সেই সময় কোনোক্রমে দুটো কথা বলে উঠতে পেরেছিলেন। শ্বশুরবাড়ির প্রসঙ্গে মেয়েদের মানিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। বাড়ির পুরুষদেরও তো মানিয়ে নিতে হবে। বাপের বাড়ি থেকে সব সময় মেয়েকেই মানিয়ে নিতে বলা হয়। কোনো সমস্যা হলে তারা ভাবেন তাদের মেয়েরই কোনো দোষ রয়েছে।’
ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতা তুলে গায়িকা বলেছেন, ‘তিরিশ পার করার পরে আমার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। সেটা যে কী যন্ত্রণাদায়ক, তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমি এখন অনুভব করতে পারছি, অন্যরা কতটা কষ্ট পেত। একজন পুরুষকে তো তিন দিন পেটে যন্ত্রণা নিয়ে অফিস যেতে হয় না। তাই এই সময়টা যে নারীদের অতিরিক্ত কষ্ট হয়, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।’
লগ্নজিতা এও জানান, নারী ও পুরুষের শারীরিক গঠন ভিন্ন। নারী সন্তান ধারণ করতে পারে বলেই তারা বেশি শক্তিশালী এমন নয়। গায়িকার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘নারী হয়ত সন্তান উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু তার অন্য কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন আমার বর আমার চেয়ে বড়। তাই ও অনায়াসে ২০ কেজির ব্যাগ তুলে নিতে পারে। কিন্তু আমি হয়ত সেটা পারব না।’
লগ্নজিতার এই স্পষ্ট বক্তব্য নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে ভাবনার অবকাশ তৈরি করেছে।