ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অটো টিউনে গান গাওয়া যায়, শিল্পী হওয়া নয়: রুনা লায়লা

অটো টিউনে গান গাওয়া যায়, শিল্পী হওয়া নয়: রুনা লায়লা

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা—যিনি দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। সংগীতে তার অবদান তাকে পরিণত করেছে জীবন্ত কিংবদন্তিতে। বর্তমান সময়ের গানের নির্মাণপ্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি খোলাখুলি মত দিয়েছেন ‘অটো টিউন’ প্রসঙ্গে।

“অটো টিউন দিয়ে এখন যে কেউ গান গাইতে পারে” বর্তমান প্রজন্মের সংগীতে অটোটিউন ব্যবহারের প্রবণতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন রুনা লায়লা। তার ভাষায়,“অটো টিউন দিয়ে এখন যে কেউ গান গাইতে পারে। এটুকুই বললে বুঝে নেবেন—এই প্রযুক্তি আমার পছন্দ না অপছন্দ।”

তিনি মনে করেন, একজন প্রকৃত শিল্পীর মূল শক্তি তার সুর ঠিক রাখার ক্ষমতা। “আমি যদি নিজের সুর ঠিক রাখতে না পারি, তাহলে আমার শিল্পী হওয়াই উচিত নয়। অটো টিউন যদি সব ঠিক করে দেয়—সুরও ঠিক করে দেয়—তাহলে তো মুখে দুই লাইন গাইলেই কাজ হয়ে যায়।”

আবেগ–স্বতঃস্ফূর্ততা হারিয়ে যাচ্ছে রুনা লায়লা মনে করেন, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার গান থেকে হারিয়ে দিচ্ছে আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ততা।

তার বক্তব্য,“অটোটিউন লাগালে স্পন্টানিটি থাকে না, ওই ইমোশনও থাকে না। গান তো শুধু ঠিক নোটে গাওয়ার নাম নয়—এটায় তো অনুভূতি আছে, প্রাণ আছে।”

আগের দিনের সেই পরিশ্রম আর নেই পুরোনো দিনের রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলনা করে তিনি বলেন,“আগে ফুল মিউজিশিয়ানদের নিয়ে গান করতাম। বিকেল ছটা থেকে শুরু হলে পরের দিনের সকাল ছটা পর্যন্ত রেকর্ডিং চলত। কেউ ভুল করলে আবার প্রথম থেকে শুরু।”

তিনি জানান, অনেক সময় একেকটি গানের জন্য ১০১ টেক পর্যন্ত নিতে হতো।“যে খাটনিটা আমরা খেটেছি—এখন আর সেটা নেই।” বর্তমান প্রক্রিয়া সহজ হলেও শিল্পীর চ্যালেঞ্জ কম এখনকার রেকর্ডিং সহজ এবং দ্রুত হওয়ায় শিল্পীদের সেই পরিশ্রম আর প্রয়োজন হয় না বলে মনে করেন তিনি।

তার ভাষায়,“এখন স্টুডিওতে গিয়ে বলি, ‘ট্র্যাক কী? ঠিক আছে, চলো’। সহজ হয়ে গেছে। তবে শুদ্ধ সংগীত চর্চার জায়গাটা হারিয়ে যাচ্ছে।”

রুনা লায়লা,শিল্পী,গান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত