সংবিধানের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
বুধবার (৫ মার্চ) ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
কাশ্মির ইস্যুতে জয়শঙ্কর বলেন, এ ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি এবং আমি মনে করি, ইতোমধ্যে অনেকাংশে আমরা এটিকে গুছিয়ে এনেছি। প্রথম ধাপে আমরা (সংবিধানের) ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি, দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে গতিশীল করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি এবং সেই নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, এখন আমাদের সামনে আছে চতুর্থ ধাপ। এই ধাপে আমাদের লক্ষ্য হলো জম্মু-কাশ্মিরের চুরি যাওয়া অংশ উদ্ধার করা। আরও স্পষ্টভাবে বললে, জম্মু-কাশ্মিরের যে অংশটি পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে, সেটিকে ভারতের মানচিত্রভুক্ত করা। আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, যদি এই লক্ষ্য আমরা সফলভাবে অর্জন করতে পারি, সেক্ষেত্রে কাশ্মির ইস্যু নামে আর কোনো সংকট থাকবে না। এটিই এ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের সময় থেকে কাশ্মির সংকটের শুরু। ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা লাভের পর জম্মু-কাশ্মির দখলে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান এবং কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরের অনতিদূরে পৌঁছে যায়। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মিরের রাজা হরি সিং জম্মু-কাশ্মিরের ভারতে অন্তর্ভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন। পরে অভিযানে নামে ভারতের সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই থেকে জম্মু-কাশ্মিরের মোট ভূখন্ডের ৪৩ শতাংশ ভারতের এবং ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের দখলে রয়েছে। বাকি ২০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনের হাতে। চীনের অধিকৃত ওই অঞ্চলটি সিয়াচেন নামে পরিচিত।