জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শে এক বিবৃতিতে ‘মুখ ফসকে’ ইসরায়েলকে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, 'ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও দুর্ভোগ ছড়াচ্ছে।' এই মন্তব্যের পরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি তা সংশোধন করে বলেন, 'আমার উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে দায়ী করা, ইসরায়েলকে নয়।' তিনি দাবি করেন, অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি দুঃখিত এবং তাৎক্ষণিকভাবে নিজ বক্তব্য সংশোধন করেন।
ঘটনাটি জাতিসংঘে মার্কিন কূটনীতির জন্য এক বিব্রতকর মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত শে পরে বলেন, ইরান যদি তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার পূর্ববর্তী চুক্তিতে সম্মত হতো, তাহলে আজকের এই সংঘাত এড়ানো যেত। তিনি ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতে ইরানকে প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন, যদিও তার মুখ ফসকানো মন্তব্য উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সময় এই মন্তব্য এলো যখন ইসরায়েল ও ইরান ভয়াবহ সংঘাতে জড়িত, এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে এই মন্তব্য মার্কিন অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিতর্ক আরও জোরালো হয় এবং কিছু আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।