
বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউরোপকে সম্পদ দখলের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, রাশিয়ার সম্পদ দখল করলে এই শতকের শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে তাড়া করবে রাশিয়া। এর পাশাপাশি যারা রাশিয়ার সম্পদ দখলে জড়িত থাকবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোকেও ছাড়া হবে না।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে মস্কোর এই হুঁশিয়ারির বিষয়টি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সব উপায়ে, সব আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আদালতে এবং আদালতের বাইরেও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোকে তাড়া করবে।
রাশিয়ার দাবি, তাদের সম্পদ দখল মানে পশ্চিমাদের চুরি করা। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বন্ড ও মুদ্রার ওপর আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধে ইউক্রেন ধ্বংসের জন্য রাশিয়াই দায়ী। তাই মস্কোর সঙ্গে জোর করে হলেও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
এর আগে, পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কয়েক শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সহায়তা করার নতুন উপায় খুঁজছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করে এবং রাশিয়ার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার জব্দ করে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন চান ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যয় মেটানোর জন্য রাশিয়ার জব্দ করা অর্থ ব্যবহার করার নতুন উপায় খুঁজে বের করুক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা থাকা রাশিয়ার অর্থ ব্যবহার করে ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিপূরণ ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইউরোপীয় কমিশন।
আবা/এসআর/২৫