অনলাইন সংস্করণ
১১:২৮, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫
ভারতের সেনাপ্রধানের উসকানিমূলক মন্তব্যের জবাবে এবার কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘাত বাঁধলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ, আর এবার পাকিস্তান কোনোভাবেই সংযম দেখাবে না।
শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই সতর্কবার্তা দেয়। রোববার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এর একদিন আগে ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তান যদি “সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা” চালিয়ে যায়, তবে তার অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে। তিনি আরও জানান, “পরেরবার ভারত সংযম দেখাবে না।”
এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও সতর্ক করে বলেছিলেন, পাকিস্তান যদি সির ক্রিক সীমান্তে কোনো “অ্যাডভেঞ্চার” করে, তবে “ইতিহাস ও ভূগোল বদলে দিতে পারে” এমন জবাব দেবে ভারত।
‘সির ক্রিক’ হলো ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মধ্যে ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বিতর্কিত উপসাগরীয় অঞ্চল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসা বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও যুদ্ধংদেহী মন্তব্যে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভবিষ্যতে সংঘাত বাঁধলে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যদি আবার সংঘাত শুরু হয়, পাকিস্তান আর সংযম দেখাবে না। কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমরা দৃঢ়ভাবে পাল্টা জবাব দেব।”
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে, তাদের রয়েছে প্রতিপক্ষের ভূখণ্ডের “প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতা ও প্রস্তুতি।” তারা আরও বলে, “এইবার আমরা ভারতের তথাকথিত ভূগোলগত নিরাপত্তার ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দেব।”
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে চার দিনের সংঘাত হয়। ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে অভিযান চালায়, জবাবে ইসলামাবাদ ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।