ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফের সংঘাতে জড়াল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

ফের সংঘাতে জড়াল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

আবারও সংঘাতে জড়ালো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ ঘিরে কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে থাই বিমানবাহিনী।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে একে অপরকে দায়ী করেছে উভয় দেশ। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় উবন রাতচাথানি প্রদেশের দুটি স্থানে তাদের সেনাদের ওপর কম্বোডিয়ার দিক থেকে গুলি ছোড়া হয়। এতে একজন থাই সেনা নিহত ও চারজন আহত হন।

ঘটনার পর থাই বাহিনী কয়েকটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করে ব্যাংকক। অপরদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বাড়িয়ে সোমবার ভোরে তাদের বাহিনীর ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। তবে তারা দাবি করেছে, কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা আক্রমণ করা হয়নি।

এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে সীমান্ত ইস্যু নিয়ে পাঁচ দিনের ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ওই সংঘাতের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। অক্টোবর মাসে কুয়ালালামপুরে আরেকটি বর্ধিত শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন।

তবে গত মাসে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনা গুরুতর আহত হওয়ার পর ব্যাংকক যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবার বাড়তে থাকে।

উল্লেখ্য, ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ থাই–কম্বোডিয়া সীমান্তের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধের ইতিহাস শত বছরেরও বেশি পুরোনো। ১৯০৭ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে প্রথমবার এই সীমান্ত মানচিত্রে চিহ্নিত করা হয়। বারবার কূটনৈতিক আলোচনার চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি। সর্বশেষ বড় সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১১ সালে, যখন দুই দেশের মধ্যে টানা এক সপ্তাহ আর্টিলারি গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

সংঘাত,থাইল্যান্ড,কম্বোডিয়া,সীমান্ত বিরোধ,বিমান হামলা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত