অনলাইন সংস্করণ
১৪:৫২, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
জ্বর যেকোনো কারণে হতে পারে এবং ঠাণ্ডা মৌসুমে ঠাণ্ডা ও জ্বরের সমস্যায় বেশিরভাগ মানুষই ভুগছেন। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে দিন ও রাতে এর ওঠানামা হতে পারে। যখন শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, তখন সেটি জ্বরের চিহ্ন। এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষ অবিলম্বে ওষুধ খেতে পছন্দ করেন, তবে জানুন কখন ওষুধ খাওয়া উচিত এবং কেন জ্বর হয়।
জ্বর কেন হয়?
জ্বর শরীরের একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত কোনো সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে হয়। এটি আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্য কাজ করে, তাই এটি যে কোনো ক্ষেত্রে খারাপ মানে নয়। সুতরাং, জ্বরের মাধ্যমে শরীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার চেষ্টা করছে। কখন ওষুধ খাওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, যখন জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি হয়, তখনই ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত কোল্ড কম্প্রেস ব্যবহার করলেই জ্বর কমানো সম্ভব। যদি তাপমাত্রা ১০২-এর নিচে থাকে, তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই অবস্থায় সাইটোকাইন নামক প্রোটিন শরীরে তৈরি হয়, যা অন্য কোষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে শরীরের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করে। অতএব, অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের জন্য সবসময় বাধ্যতামূলক নয়।
কেন অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না?
অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র খারাপ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে না, বরং ভালো ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে। এটি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং মাসের পর মাস সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতএব, অযথা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের জন্য পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দিলে পরবর্তীতে তাদের লিভার ফ্যাটি হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব শিশুদের ওষুধ থেকে দূরে রাখা উচিত এবং অবশ্যই শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেশন নেওয়া উচিত।
এই পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনি স্বাস্থ্যকরভাবে জ্বরের মোকাবিলা করতে পারবেন এবং সঠিক সময়ে ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন।