ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রতিদিন রাতে গুড়-দুধ: এক মাসে শরীরে যে ৫ পরিবর্তন

প্রতিদিন রাতে গুড়-দুধ: এক মাসে শরীরে যে ৫ পরিবর্তন

অনেকের কাছেই ঘুমের আগে এক গ্লাস গরম গুড়ের দুধ এখন এক আরামদায়ক অভ্যাস। উষ্ণ দুধের প্রশান্তি আর গুড়ের প্রাকৃতিক মিষ্টতা শরীরকে দেয় তাৎক্ষণিক স্বস্তি, পাশাপাশি জোগায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি। সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত এই পানীয়টি শুধু ঐতিহ্যবাহী নয়, বরং রাতে শরীর ও মনকে শিথিল করতেও দারুণ কার্যকর। দুধ ও গুড় আলাদাভাবে যেমন উপকারী, তেমনি একসঙ্গে নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরে দেখা যেতে পারে বেশ কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তন। গবেষণা ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে এক মাস ধারাবাহিকভাবে পান করলে যা হতে পারে—

১. উন্নত ঘুমের মান

গরম দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান, যা শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। মেলাটোনিন ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হওয়ায় এই পানীয় দ্রুত ঘুমাতে ও গভীর ঘুম পেতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন–এর গবেষণায়ও ট্রিপটোফ্যানসমৃদ্ধ খাবার ঘুমের মান বাড়াতে কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২. হজমশক্তি ও পেটের আরাম বৃদ্ধি

গুড় হজমে সহায়ক পাচক এনজাইম সক্রিয় করতে সাহায্য করে। উষ্ণ দুধের সঙ্গে মিশে এটি পেটকে শিথিল করে, বিশেষ করে রাতের খাবারের পর পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি কমাতে কার্যকর। নিয়মিত সেবনে হজমশক্তি ধীরে ধীরে উন্নত হয়।

৩. আয়রন ও শক্তির প্রাকৃতিক জোগান

গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক আয়রন ও খনিজ শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে। যদিও এটি আয়রন-ঘাটতির চিকিৎসা নয়, তবে প্রতিদিন রাতে গ্রহণ করলে শরীরের খনিজ চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে এবং ক্লান্তিভাব কমাতে সাহায্য করে।

৪. মানসিক প্রশান্তি ও চাপ কমানো

গরম দুধের মতো উষ্ণ পানীয় স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে। দুধে থাকা বি–ভিটামিন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন–এ প্রকাশিত ২০২৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী, গরম পানীয় ঘুম ও মানসিক চাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত—যা রাতে গুড়-দুধকে করে তোলে আরও কার্যকর।

৫. ত্বকের উজ্জ্বলতা ও হাইড্রেশন বৃদ্ধি

গুড়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আর দুধে থাকে প্রোটিন ও উপকারী চর্বি—যা ত্বকের অভ্যন্তরীণ পুষ্টি বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত এই পানীয় গ্রহণে ত্বক আরও হাইড্রেটেড দেখায় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। যদিও এটি কোনো স্কিন-কেয়ার পণ্যের বিকল্প নয়, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পানি গ্রহণের সঙ্গে মিললে উপকার পাওয়া যায়।

গুড়-দুধ,প্রতিদিন রাত,৫ পরিবর্তন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত