ফটিকছড়িতে এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। পূর্বের বছরর ন্যায় এখানকার সাধারণ মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই জাতীয় ফল কাঁঠাল এমনটি জানা গেছে। সরেজমিনে দেখে গেছে, উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের হেঁয়াকো বাজারে যেদিক চোখ যায় শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল। খাগড়াছড়ির রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি, কয়লা বাজার, ফটিকছড়ির দাঁতামারা, বালু টিলা নারায়ণহাট, মির্জারহাট, কাজীরহাট বাজার, বিবিরহাট বাজার, নাজিরহাট বাজার, আজাদীবাজার, নানুপুরবাজারসহ স্থানীয় এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা ওই বাজার থেকে কাঁঠাল ক্রয় করতে লক্ষ্য করা গেছে।
হেঁয়াকো বাজার থেকে কাঁঠাল ক্রয় করে নিচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরাও। তারা প্রতিদিন এসব কাঁঠাল ট্রাক-জিপ-পিক-আপ করে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ঢাকাসহ সারাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি ট্রাক ২-৩ হাজার কাঁঠাল বহন করা হয় বলে জানান একাধিক ড্রাইভার। এই বাজারই প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ টাকার কাঁঠাল লেনদেন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ি কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, হেঁয়াকো বাজারটা পড়েছে আমার ওয়ার্ডে। এখানে প্রতিদিন সারাদেশের পাইকাররা এসে কাঁঠাল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। কাঁঠালের ক্রেতা আবু হানিফ, আমিনুল হক, ফজলুল করিম, জানান, এলাকার কাঁঠাল খবুই মধু ও দাম কম। তাই আমরা কাঁঠাল এখান থেকে ক্রয় করে থাকি। স্থানীয় কাঁঠাল বিক্রিতা জহির উদ্দীন বলেন, সাফমারা থেকে হেঁয়াকো বাজারে কাঁঠাল এনেছি, প্রতিটি কাঁঠালের দাম দিয়েছি ৭৫ টাকা করে।
একাদিক ব্যবসায়িরা জানান-একটি কাঁঠাল সাইজ অনুসারে ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। গত কয়েক বছর আগে একটি কাঁঠাল পাইকারি বিক্রি করতে হয়েছিল ৩০টাকা। আর গত বছর প্রতি কাঁঠাল খুচরা বিক্রি হয় ৪৫ টাকা, তা এবার ৭০-১০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে সাইজ অনুসারে। জানা গেছে, উপজলার বাগান বাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিলের শোভনছড়ি, কাঞ্চননগর, খিরামে এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঁঠালের বাম্পার ফলন উৎপাদনকারী গৃহও বাণিজ্যিক ভিত্তিত উৎপাদিত চাষিরা খুবই খুশি। কৃষকরা তা স্ব-স্ব বাজার পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। ফটিকছড়ি উপজলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, চলতি বছরে উপজেলায় ১২৮৫ হেক্টর এলাকায় কাঁঠাল হয়েছে। সর্বত্র কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলে বেশির ভাগ এলাকা পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে অনেক বেশি কাঁঠাল উৎপাদন হয়। উৎপাদিত কাঠালের মধ্যে রয়েছে বারি কাঠাল-১, বারি কাঁঠাল-২, খাজা, দোসরা, গালা।